• facebook
  • twitter
Friday, 18 October, 2024

দিল্লি এইমসে মহিলা নিরাপত্তারক্ষীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিকের বিরুদ্ধে 

দিল্লি এইমসে মহিলা নিরাপত্তারক্ষীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ  উঠল তাঁরই উর্ধ্বতনের বিরুদ্ধে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এমসের মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং জাতপাত তুলে অপবাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর লিখিত অভিযোগের পর অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

দিল্লি এইমসে মহিলা নিরাপত্তারক্ষীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ  উঠল তাঁরই উর্ধ্বতনের বিরুদ্ধে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এমসের মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং জাতপাত তুলে অপবাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর লিখিত অভিযোগের পর অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জানা গেছে ঘটনাটি ঘটেছে সিএসও অফিসে। অভিযোগ, ওই মহিলা নিরাপত্তা রক্ষী বলেছেন যে মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিক তাঁকে যৌন হয়রানি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে জাতপাতের অপবাদসূচক শব্দ ব্যবহার করেন এবংতাঁকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন। তিনি যখন তাঁর অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন, তখন সিএসও তাঁকে অনুসরণ করেন, এবংতাঁর সহকর্মীদের সামনে তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়।
 
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা এবং এমসের অধিকর্তা এম শ্রীনিবাসের কাছেও অভিযোগপত্রের প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন নির্যাতিতা। এমসের প্রশাসনিক ব্লকের যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেই জায়গায় সিসিটিভি ফুটেজও সংরক্ষিত রাখার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এদিকে এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে প্রকাশ্যে কিছু না বলা হলেও, ঘটনার তদন্তে এইমসের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। আগামী ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে ওই কমিটিকে। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন এমসের ‘গ্রিভান্স কমিটি’র প্রধান তথা ডিন কেকে বর্মা। এ ছাড়াও এই তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন বায়োফিজিক্স বিভাগের প্রধান পুনিত কউর। 
 
জানা যাচ্ছে, এমস হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত ওই মহিলা। গত ২ অক্টোবর কাজের রস্টার জানার জন্য মুখ্য নিরাপত্তা  আধিকারিকের কাছে যান তিনি। তাঁর আবেদন ছিল যাতে তাঁর রাতের ডিউটি বদল করা হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন তিনি। কিন্তু তাঁর অভিযোগ,  রস্টার বদল তো দূরের কথা,  সেখানে তাঁর যৌন হেনস্থা করা হয় বলে । এমনকি কাজ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় গত ৩ অক্টোবর তফসিলি জাতীয় কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা।

কারণ তাঁর দুই সন্তানকে দেখাশোনা করতে হয়। মহিলার স্বামী আগেই মারা গিয়েছেন। ফলে দুই সন্তানকে নিয়েই তাঁর সংসার। অভিযোগ, মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিকের অফিসে যেতেই তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয়। এমনকি কাজ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সহকর্মীদের সামনে তাঁকে জাত তুলেও অপবাদ দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, আর জি কর হাসপাতালে মহিলা জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। মর্মান্তিক সেই ঘটনায় বিচারের দাবির পাশাপাশি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনচলছে দেশজুড়ে। কিন্তু প্রকৃত ছবি যে বদলায়নি তার প্রমান দিল্লির এইমসের মতো নামজাদা হাসপাতালের এই ঘটনা।