• facebook
  • twitter
Friday, 18 October, 2024

এবার গ্রামে গ্রামে জুনিয়র চিকিৎসকদের গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি

গ্রামে গ্রামে গিয়ে জনসাধারণের ‘গণস্বাক্ষর' নেওয়ার ভাবনাচিন্তা করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে কবে থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে, তা এখনও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।

আরজিকর কাণ্ডে নিহত জুনিয়র চিকিৎসকের নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং ১০ দফা দাবিকে সামনে রেখে জুনিয়র চিকিৎসকরা ধর্মতলায় ‘আমরণ অনশনে’ আন্দোলনরত। সেই ইস্যুকে সামনে রেখেই বৃহস্পতিবার থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে শুরু হয় গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি। বুধবার ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজ আয়োজিত বৈঠকে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার পর ধর্মতলার অনশনমঞ্চ থেকে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা করে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। ধর্মতলার ৪ প্রান্তের চারটি জায়গায় গণস্বাক্ষর নেওয়ার কাজ চলে। আর এবার সেই কাজ আরও ব্যাপক ও বিস্তৃতভাবে সংগ্রহ করতে জুনিয়র চিকিৎসকদের ভাবনায় রয়েছে গ্রামে গ্রামে গিয়ে ‘গণস্বাক্ষর’ সংগ্রহ অভিযান। আন্দোলনকে আরও বড় করে তোলার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকদের আন্দোলনকে প্রায় সমস্ত মহলই সমর্থন জানিয়েছেন। জনসাধারণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিশিষ্ট মহল পাশে দাঁড়িয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের। জনসাধারণের স্বতস্ফূর্ত সমর্থন দেখে বৃহস্পতিবার থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে শুরু হয় ‘গণস্বাক্ষর সংগ্রহ’ কর্মসূচি। আর এবার তিলোত্তমার পর গ্রামে গ্রামে ‘গণস্বাক্ষর’ নেওয়া হবে বলে ভাবনায় রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

কেন এই সিদ্ধান্ত?

জুনিয়র চিকিৎসকদের এই আন্দোলন জনসাধারণের আরও কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এবার গ্রামে গ্রামে গিয়ে ‘গণস্বাক্ষর’ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

কবে থেকে গ্রামে গ্রামে গিয়ে ‘গণস্বাক্ষর’ নেওয়া শুরু করবেন চিকিৎসকরা?
গ্রামে গ্রামে গিয়ে জনসাধারণের ‘গণস্বাক্ষর’ নেওয়ার ভাবনাচিন্তা করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে কবে থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে, তা এখনও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর থেকে ১০ দফা দাবিকে সামনে রেখে জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলনরত। ইতিমধ্যেই একাধিক জুনিয়র চিকিৎসক টানা অনশনের জেরে অসুস্থ হয়ে ভর্তি হাসপাতালে। কিন্তু আন্দোলন থেমে নেই তাতে। আরও জুনিয়র চিকিৎসক যোগ দিচ্ছেন অনশনে। আন্দোলন যে সহজে দমানো যাবে না, তা তাঁদের কর্মসূচি থেকেই স্পষ্ট। তাই জনসাধারণের কাছে আরও পৌঁছে যাওয়ার জন্যই এবার কলকাতার বাইরে গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যেতে চান চিকিৎসকরা।