কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে বোমাতঙ্ক, যার জেরে বুধবার জরুরি বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নাইডু। কিন্তু তারপরও বোমাতঙ্ক অব্যাহত। একটা নয়, বরং দু’দুটো বিমানে এবার বোমাতঙ্ক, যা ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে আতঙ্ক।
বৃহস্পতিবার ইন্ডিগো এবং ভিস্তারা বিমানে ছড়ায় বোমাতঙ্ক। জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে ভিস্তারার ওই বিমান আসছিল। বুধবার দিন ভিস্তারার ওই বিমান ১৪৭ জন যাত্রীকে নিয়ে ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু মুম্বইয়ে পৌঁছনর কিছু আগেই বিমানে ছড়ায় বোমাতঙ্ক।
বোমাতঙ্কের জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। সমাজমাধ্যমে আসে বোমাতঙ্কের হুমকি। যার জেরে তড়িঘড়ি ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয় ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে আসা ভিস্তারা বিমান। যাত্রীদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে বিমানে চালানো হয় তল্লাশি।
একটি বিমানের পর আরও একটি বিমানে ছড়ায় বোমাতঙ্ক। সেটিও মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে আসছিল। তুরস্ক থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে আসছিল ইন্ডিগোর ওই বিমান। একই দিনে দু’দুটি বিমানে ছড়ায় বোমাতঙ্ক। সেই বিমানেও ছলে তল্লাশি। তবে সন্দেহজনক কিছু উদ্ধার হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি। ইন্ডিগোর ওই বিমানের যাত্রীরা নিরাপদে আছেন বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বোমাতঙ্কের মুখে পড়ে মুম্বইয়ের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমান। তারপর বিমানের অভ্যন্তরে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালায় সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি ব্যুরো, সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি এবং পুলিশের কর্তারা। তবে তদন্তে বিমানের ভেতর থেকে কিছু পাওয়া যায়নি।
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বিমানে বোমাতঙ্কের ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মঙ্গলবার সাতটি বিমানে বেশ কিছু এক্স হ্যান্ডেলের পক্ষ থেকে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়। সেই অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, লন্ডন-সহ অন্যান্য কয়েকটি দেশ থেকে এই হুমকি বার্তা আসছে।