• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ইলিশ শিকারে গিয়ে বিপত্তি! বাংলাদেশি নৌবাহিনীর হাতে আটক ৩১ ভারতীয় মৎস্যজীবী

ইলিশ শিকারে গিয়ে বিপত্তি! বাংলাদেশি নৌবাহিনীর হাতে আটক ৩১ ভারতীয় মৎস্যজীবী। অভিযোগ, জলসীমা পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে ইলিশ ধরছিলেন তাঁরা।

ইলিশ শিকারে গিয়ে বিপত্তি! বাংলাদেশি নৌবাহিনীর হাতে আটক ৩১ ভারতীয় মৎস্যজীবী। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জলসীমা পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে ইলিশ ধরছিলেন তাঁরা। বুধবার কাকদ্বীপের দুটি ফিশিং ট্রলার সহ ওই মৎস্যজীবীদের আটক করেছে বাংলাদেশের নৌবাহিনী। প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে আটক মৎস্যজীবীদের পরিবার।

বঙ্গোপসাগর থেকে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলছে। সেই কারণে নজরদারি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। বিএনএস শহিদ আখতার উদ্দিন নামে একটি জাহাজ টহল দিচ্ছে সাগরে। বাংলাদেশের নৌবাহিনীর জওয়ানরাই এই জাহাজে রয়েছেন। গত সোমবার অর্থাৎ ১৪ অক্টোবর ওই জাহাজটির দুটি সন্দেহজনক ট্রলারকে দেখতে পায়।

প্রাথমিক তদন্তের পর নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়, ট্রলার দুটিতে ভারতীয় পতাকা ছিল। নিয়ম ভেঙে মাছ ধরছিলেন তারা। এরপর ওই ট্রলারদুটিকে আটক করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের নৌবাহিনী। সেই মতো ৩১ জন মৎস্যজীবী-সহ কাকদ্বীপের ওই দুটি ফিশিং ট্রলারকে আটক করে পটুয়াখালি বন্দরে নিয়ে যায় নৌবাহিনী।

ট্রলার দুটিকে বন্দরে রাখা হলেও মৎস্যজীবীদের কলাপাড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বাংলাদেশের নৌবাহিনীর দাবি, মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। প্রতি বছরই এই সময় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভারতের মৎস্যজীবীরা বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকেছিলেন ইলিশ ধরছিলেন। তাই ট্রলার-সহ মৎস্যজীবীদের আটক করা হয়েছে।

অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে যাওয়া মৎস্যজীবীদের দাবি, তাঁরা ভারতের জলসীমায় মাছ ধরছিলেন। মৎসজীবীদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ১১ অক্টোবর সকালে এফবি বাসন্তী এবং এফবি জয় জগন্নাথ নামক দুটি ট্রলার গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। নামখানা ঘাট থেকে রওনা দেওয়া ওই ট্রলারটিতে ৩১ জন মৎস্যজীবী ছিলেন।