• facebook
  • twitter
Friday, 18 October, 2024

ফের বাড়ল ব্যবধান, কেন্দ্র ডিএ বাড়াতেই আন্দোলনের হুঁশিয়ারি রাজ্যের কর্মচারী সংগঠনগুলির

আরও বাড়ল রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারিদের মধ্যে মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)–র ব্যবধান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা তিন শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধি

আরও বাড়ল রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারিদের মধ্যে মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)–র ব্যবধান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা তিন শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধিতে অনুমোদন দেওয়ার কারণে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে পার্থক্য অনেকটাই বৃদ্ধি পেল। বর্তমানে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ৩৯ শতাংশে। এর জেরে ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। পুজোর ছুটির পরই ফের আন্দোলন হবে বলে জানানো হয়েছে। দীর্ঘ কয়েকবছর ধরেই কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবি করছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এই দাবিতে আন্দোলনেও নেমেছিল বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী সংগঠন। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের দ্বারস্থ হয়েছিল সরকারি কর্মচারীদের সম্মিলিত সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাছেও এই ব্যাপারে আর্জি জানানো হয়েছিল। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ–র দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে হয়েছে মামলা। তবে এখনও এই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ফের কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধির খবরে জমে থাকা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।
উল্লেখ্য, এতদিন ৫০ শতাংশ হারে ডিএ পেতেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। মঙ্গলবার ৩ শতাংশ হাতে ডিএ বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে তাঁরা ৫৩ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন। অপরদিকে, গত এপ্রিলে ৪ শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধি করেছিল রাজ্য। বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ১৪ শতাংশ হারে ডিএ পান। এই হিসেবে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ডিএ–র ফারাক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ শতাংশে। কেন্দ্রের ডিএ বৃদ্ধির খবর প্রকাশ্যে আসতেই শারদীয়ার ছুটির পর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জীবনের অন্ধকার আরও ঘন হল। বিশেষ করে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের অবস্থা আরও শোচনীয় হল। ডিএ–র ব্যবধান প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তাই আমরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। পুজোর ছুটি শেষ হলেই অবস্থান স্পষ্ট করব।’
ক্ষমতায় আসার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতির কথার মনে করিয়ে দিয়েছেন অনেকে। বিরোধী নেত্রী হিসেবে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ক্ষমতায় এলে তিনি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু এত বছর পরেও তা করা গেল না। উল্টে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ–র ফারাক দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল।
অপরদিকে শাসকদলের সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক বলেন, ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা রাখছি। সকলেই জানি যে, কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গকে কীভাবে বঞ্চিত করে চলেছে। তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী কখনও বলেননি যে ডিএ দেবেন না। তাই রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে যাওয়া উচিত হবে না।’