মা দুর্গা বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলা থেকে বিদায় নিয়েছে বর্ষাও। বেশ কয়েকদিন ধরেই ভোরের দিকে কুয়াশার আনাগোনা চোখে পড়ছে। বেলা বাড়তেই অবশ্য প্যাচপ্যাচে গরমে নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার। ভোরে ঠান্ডা, সকালে গরম, আবার রাতে হালকা ঠান্ডা – আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনার জেরে অনেকেই সর্দি-কাশির সমস্যায় ভুগছেন। আর তাই ভিড় জমছে ডাক্তারবাবুদের কাছেও।
যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তারা পরিবর্তনশীল ঋতুতে প্রায়ই সর্দি-কাশির শিকার হন। সুস্থ হতেও বেশ খানিকটা সময় লাগে তাদের। সর্দি-কাশির জন্য সকলে ওষুধ খেতে পছন্দ করেন না। বিকল্প উপায়ে সর্দি-কাশির মোকাবিলা করতে পছন্দ করেন বেশিরভাগ মানুষ। ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে সর্দি-কাশির মোকাবিলা করবেন, সেটা জেনে নেওয়া যাক।
গরম জল
সর্দি কাশির মোকাবিলায় গরম জলের জুড়ি মেলা ভার। গরম জলের ভাপ নিলে বা গার্গল করলে বেশ আরাম লাগে। দিনে বেশ কয়েকবার আপনি এটা করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি গরম জলে কয়েক ফোঁটা পুদিনা মিশিয়ে তারপর ভাপ নেন। দিনে দুই থেকে তিনবার এভাবে ভাপ নিলে কয়েকদিনের মধ্যেই আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
চা পাতা দিয়ে গার্গল
চা দিয়েই সকালটা শুরু করেন অধিকাংশ বাঙলি। প্রায় সকলের বাড়িতেই বিভিন্ন রকম চা পাতা থাকে। আপনি হয়তো জানলে অবাক হবেন, সর্দি-কাশির উপশমে ম্যাজিকের মতো কাজ করে চা পাতা। গরম জলে চা পাতা মিশিয়ে ভাপ নিতে হবে। প্রথমে একটি বড় পাত্রে জল নিন। তারপর তাতে এক টেবিল চামচ চা পাতা যোগ করুন। মিশ্রণটি বেশ কিছুক্ষণ ফোটান। নামানোর আগে সামান্য লবন যোগ করুন। এরপর গার্গল করুন। সর্দি-কাশির সঙ্গে অনেকেরই টনসিল ফোলে। এই টোটকা একদিনে যেমন আপনার গলাকে আরাম দেবে, ঠিক তেমনই সর্দি-কাশি বিদায় নেবে।
কাঁচা হলুদ
সর্দি-কাশির মোকাবিলায় কাঁচা হলুদের জুড়ি মেলা ভার। হালকা গরম জলে হলুদের রস মিশিয়ে গার্গল করুন। বুকে জমে থাকা কফ খুব সহজেই বেরিয়ে আসবে।
ঘি-লবণ
এই টোটকাটি অবশ্য সামান্য খরচসাপেক্ষ। এই উপায়ে সর্দি-কাশির মোকাবিলা করতে বেশ কয়েকটি জিনিসও লাগবে আপনার। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দেশি ঘি সামান্য রক সল্ট মিশিয়ে বুকে লাগান। শোওয়ার আগে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল নাকে দিলেও বেশ আরাম পাবেন। কয়েকদিন এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনার বুকে জমে থাকা কফ বেরিয়ে আসবে।