অসমে ফের নারী নির্যাতনের ঘটনা। কোকরাঝাড় জেলার গোঁসাইগাঁও এলাকায় এক বিশেষভাবে সক্ষম মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তিন জনের বিরুদ্ধে। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে সোমবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, যে মহিলা এই ভয়ঙ্কর ঘটনার শিকার হয়েছেন, তিনি মূক-বধির ব্যক্তি। অভিযোগ, তিন দুষ্কৃতী নির্যাতিতাকে গণধর্ষণ করার আগে রহমান ওই মহিলাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। ধর্ষণে অভিযুক্ত সকলকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
পুলিশের দাবি, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের শীঘ্রই ধরা হবে। তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হয়নি পুলিশ।
চলতি বছর অগাস্টে অসমের নগাঁও জেলার ধিং এলাকায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গোটা রাজ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। নগাঁও জেলার ধিং এলাকার একটি টিউশন সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে ৩ জন। সাইকেলে করে ফেরার সময় তিনজনের একটি দল কিশোরীকে গণধর্ষণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ওই তরুণীকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় এলাকার একটি পুকুরের পাশে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরা মেয়েটিকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ হেফাজত থেকে পালানোর সময় প্রধান অভিযুক্ত তফিকুল ইসলামের মৃত্যু হয়। পুকুরে ডুবে মারা যায় সে।
বাকি দুই অভিযুক্তকে সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুই অভিযুক্তের মধ্যে একজন নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর শহরে লুকিয়ে ছিলেন। অসম পুলিশ তাকে প্রতিবেশী রাজ্য থেকে গ্রেপ্তার করে। অন্য অভিযুক্ত অসামের মরিগাঁও জেলায় অবস্থিত লাহোরিঘাট এলাকায় লুকিয়ে ছিল।