• facebook
  • twitter
Friday, 18 October, 2024

বরোদার কাছে রঞ্জির প্রথম ম্যাচেই হেরে গেল মুম্বই

মুম্বই দলের পর পর আউট হয়ে যান শামস মুলানি (১২), শার্দুল ঠাকুর (৮), তানুষ কোটিয়ান (১) ও মোহিত অবস্থিরা (৫)। বরোদার ভার্গবের বল বুঝতে সমস্যায় পড়েছেন মুম্বইয়ের প্রায় সব ব্যাটসম্যানই। যেমন আয়ুষ, রাহানে, শ্রেয়স, সিদ্ধেশ, মুলানি, শার্দুলরা। সকলেই ভার্গবের বলে আউট হয়েছেন।

গতবারের চ্যাম্পিয়ন ও এবারের ইরানি কাপ জয়ী মুম্বই দল রঞ্জি ট্রফি অভিযানে প্রথম ম্যাচেই হার স্বীকার করে নিল। অজিঙ্কা রাহানে ব্রিগেড আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকলেও শেষ পর্যন্ত ক্রুনাল পাণ্ডের বরোদার কাছে হার মানতে হলো ৮৪ রানে। বরোদা দল প্রথমে ব্যাট করতে নামে। তাদের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৯০ রানের মাথায়। তার জবাবে মুম্বই দল খেলতে নেমে মাত্র ২১৪ রানে সবাই আউট হয়ে যান। ৭৬ রানে এগিয়ে থেকে বরোদা দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমে ১৮৫ রান করে। তখন মুম্বইয়ের জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৬২ রান। অবশ্য অনেকেই ভেবেছিলেন মুম্বই দল এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে খুব একটা অসুবিধা হবে না। কিন্তু এই আশা তাদের পূর্ণ হল না। অজিঙ্কা রাহানেরা তড়িঘড়ি করে এই রান তোলার চেষ্টায় বিপদে পড়ে
যান। যার ফলে মুম্বই দল ১৭৭ রান করে সবাই প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। বরোদার এই জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন বাঁ-হাতি স্পিনার ভার্গব ভাট।

রবিবার খেলার শেষে মুম্বইয়ের দ্বিতীয় ইনিংসের রান ছিল ২ উইকেটে ৪২। রাহানে (৪) এবং আয়ুষ মাতরে (১৯) অপরাজিত ছিলেন। তাঁরা কেউই শেষ দিন দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। ওপেনার মাতরে করলেন ২২ রান। অধিনায়ক রাহানের ব্যাট থেকে এল ১২ রান। রান পাননি আর এক ওপেনার পৃথ্বী শ-ও (১২)। ৬৩ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মুম্বইয়ের হয়ে কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেন শ্রেয়স আইয়ার এবং সিদ্ধেশ ল্যাদ। শ্রেয়স করেন ৩০। সিদ্ধেশের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৯ রানের ইনিংস। বরোদা এই খেলায় গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই দলকে হারাতে সেই অর্থে কোনও বেগই পায়নি।

বরোদার বোলারদের সামনে মুম্বইয়ের ব্যাটসম্যানরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। যার ফলে তাঁদের সামনে জয় শব্দটা কখনও খেলা করেনি। দেখা যায়, মুম্বই দলের পর পর আউট হয়ে যান শামস মুলানি (১২), শার্দুল ঠাকুর (৮), তানুষ কোটিয়ান (১) ও মোহিত অবস্থিরা (৫)। বরোদার ভার্গবের বল বুঝতে সমস্যায় পড়েছেন মুম্বইয়ের প্রায় সব ব্যাটসম্যানই। যেমন আয়ুষ, রাহানে, শ্রেয়স, সিদ্ধেশ, মুলানি, শার্দুলরা। সকলেই ভার্গবের বলে আউট হয়েছেন। মুম্বইয়ের আট জন স্বীকৃত ব্যাটসম্যানের ছ’জনই ৩৪ বছরের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের শিকার। এক কথায় বলা যায়, ভাগর্বের কাছেই হেরে গিয়েছে মুম্বই দল। ৫৫ রানে ৬ উইকেট পেয়েছেন তিনি। বরোদার অন্য বোলারদের মধ্যে মহেশ পিঠিয়া ৬৮ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। মুম্বই দলের এই হার কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না সমর্থকরা।