ভারতের মনু ভাকের এবারের প্যারিস অলিম্পিক্স গেমসে জোড়া পদক জিতেছিলেন। কিন্তু আগামী অলিম্পিক্স গেমসে শুটিংয়ে বেশকিছু নিয়ম পরিবর্তন করতে চলেছে আন্তর্জাতিক শুটিং সংস্থা, যার ফলে মনু ভাকেরদের পদক জয়ের লড়াইয়ে বেশ কঠিন সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে। আন্তর্জাতিক শুটিং সংস্থা মনে করছে শুটিংকে আরও বেশি প্রতিযোগীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজন আছে এবং এই ইভেন্টকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য পরিবর্তন আনা হচ্ছে। অবশ্য এই প্রস্তাবে এখনও সিলমোহর পড়েনি।
শুটিং বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে আন্তর্জাতিক শুটিং সংস্থার সভাপতি লুসিয়ানো রোসি এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। কী ভাবে ফরম্যাট বদলাবে তা নিয়ে এখনও ভাবনাচিন্তা চলছে। তবে শটগান ইভেন্টের স্কিট ও ট্র্যাপ দুই বিভাগকেই আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলা হতে পারে। আউটডোর ইভেন্টে চলমান লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে হয়। সেই সময় হাওয়া অথবা বৃষ্টির মোকাবিলা করতে হয় শুটারদের।
রাইফেল এবং পিস্তলের ফাইনালে আট জন উঠতে পারলেও শটগান ফাইনালে ওঠেন ছ’জন। সেটি বাড়িয়ে আট জন করা হতে পারে। পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা ফাইনাল টিভির দর্শকদের কাছে আকর্ষণীয় হচ্ছে না বলে সময় কমানো হতে পারে। টেকনিক্যাল কমিটি প্রস্তাবগুলি সমীক্ষা করে দেখছে।
প্যারিস অলিম্পিক্সে শুটিংয়ের ১৫টি ইভেন্ট ছিল। একই সংখ্যা থাকছে লস অ্যাঞ্জেলেসেও। এখন স্কিট এবং ট্র্যাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব চলে ২-৩ দিন ধরে। পাঁচটি সিরিজে মোট ১২৫টি শট মারতে হয়। টিভির দর্শকদের কথা ভেবে এটিও বদলানো হতে পারে। ২০২৬ সালের মধ্যে নতুন ফরম্যাট যদি চালু হয়, তা হলে ২০২৭ বিশ্বকাপ হবে নতুন ফরম্যাটেই। সেই কারণেই নতুন ফরম্যাটে মনু ভাকেররা কতটা সাফল্য তুলে আনতে পারবেন, সেটাও দেখার বিষয়। যদি নতুন ফরম্যাটে নিজেদের অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে তৈরি করা না যায়, তাহলে অন্য প্রতিযোগীর সঙ্গে লড়াই করাটা বেশ কঠিন জায়গায় পৌঁছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আগামী অলিম্পিক এখনও তিন বছর বাকি রয়েছে। তার মধ্যে ভারতের মনু ভাকেররা নিশ্চয়ই নিজেদের তৈরি করে নেবেন বলে আশা করা যেতেই পারে।