রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে স্মারকলিপি তুলে দিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা। তবে দেখা হলেও রাজ্যপালের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি তাঁদের।
উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের প্রতি অনাস্থার কথা জানিয়ে সোমবার রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর ১টা থেকে ধর্মতলায় অনশনমঞ্চের সামনে জমায়েত শুরু হয়। ভিড় করতে থাকেন সাধারণ মানুষও। হুইল চেয়ারে করে রাজভবন অভিযানে শামিল হতে আসেন বর্ধমানের এক বৃদ্ধাও। মিছিলে দেখা যায় জাতীয় পতাকা। ধর্মতলা থেকে রাজভবনের দিকে এগোনোর সময় পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন কিঞ্জল নন্দ সহ অন্য জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই সময় বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে কিছুক্ষণের জন্য মিছিল থেমে যায় । পুলিশের সঙ্গে কথাবার্তার পর ফের রাজভবনের দিকে এগোতে শুরু করে মিছিল। বিচারের দাবিতে মিছিলে ওঠে স্লোগান। কালো জামা পরে মিছিলে শামিল হন কয়েকজন আন্দোলনকারী।
রাজভবনের সামনে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। রাজভবনের গেটের সামনেই ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখে পুলিশ। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় জুনিয়র ডাক্তারদের ১২ জনের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় দেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এসে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে দেবাশিস হালদার বলেন, ‘আমরা ১২ জন প্রতিনিধি রাজভবনে এসেছিলাম। প্রথমে জানানো হয়, রাজ্যপাল বিশ্রাম নিচ্ছেন। পরে পাঁচ জন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে ডেপুটেশন দিয়েছি। খুব বেশি কথা হয়নি। কোনও আশ্বাস পাইনি। আন্দোলন বা অনশন তোলার কথা হয়নি। রাজভবনের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন যে, রাজ্যপাল সাধ্য মতো চেষ্টা করবেন।’