• facebook
  • twitter
Friday, 18 October, 2024

মাকে কুপিয়ে আত্মঘাতী মেয়ে

হাসপাতালে ভর্তি করা নিয়ে যখন ব্যস্ত পরিবারের সদস্যরা, ঠিক সেই সময় বাথরুমে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় তুহিনা। রক্তাক্ত অবস্থায় মা’কে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা।

পুজো দেখে বাড়ি ফিরতে রাত হয়ে গিয়েছিল। রাত ১২টা পার করে বাড়িতে ঢুকতেই বকা ঝকা শুরু করেন উদ্বিগ্ন মা। মায়ের প্রশ্নের উত্তরে মেজাজ হারিয়ে ফেলে মেয়ে। দুই এক কথার মাঝেই মায়ের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে সে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মাঝেই রাগে আগুন হয়ে মাকে সবজি কাটার বটি দিয়ে আঘাত করে। এরপর নিজেই বাথরুমে ঢুকে গায়ে আগুন দিয়ে দেয় মেয়ে। মা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে থাকলেও মেয়েকে বাঁচানো যায়নি। দুর্গাপুজোর অষ্টমীর রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়িতে। ঘটনায় হতভম্ব এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জলপাইগুড়ি শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওল্ড পুলিশ লাইন এলাকায় মা ও মেয়ের বচসা বাঁধে। কলকাতায় পড়াশোনা করত তুহিনা রায়। বয়স ২১ বছর। পুজোর ছুটিতে বাড়ি এসেছিল সে। সপ্তমীর রাতে বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যায়। রাত ১২ টা নাগাদ বাড়ি ফেরে সে। গভীর রাতে বাড়ি ফেরা নিয়ে শুরু হয় মায়ের সঙ্গে মেয়ের ঝগড়া। বচসার মাঝে রান্নাঘরে থাকা ধারালো বটি নিয়ে এসে মাকে আঘাত করে তুহিনা। মুহূর্তের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে মা।

তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা নিয়ে যখন ব্যস্ত পরিবারের সদস্যরা, ঠিক সেই সময় বাথরুমে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় তুহিনা। রক্তাক্ত অবস্থায় মা’কে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তুহিনাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

স্থানীয় কাউন্সিলার অম্লান মুন্সি সংবাদমাধ্যমকে জানান, পুজোর মধ্যে এমন একটা ঘটনা খুবই দুঃখজনক। অন্যদিকে পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তুহিনার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।