• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ফরাক্কায় নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার, গ্রেপ্তার প্রতিবেশী

বেশ কয়েক ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হল নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কা থানা এলাকায়।

পুজোয় দাদুর বাড়ি ঘুরতে গিয়েছিল সে। কিন্তু দাদুর বাড়িতে ঘুরতে যাওয়াই যে মর্মান্তিক পরিণতি ডেকে আনবে তা ভাবতেও পারেনি বছর বারোর নাবালিকা। বেশ কয়েক ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হল নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কা থানা এলাকায়। ঘটনার কথা সামনে আসতেই অভিযুক্ত প্রতিবেশীকে গণপিটুনি এলাকাবাসীর। পরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সূত্রের খবর, দুর্গাপুজো উপলক্ষে বাড়ি থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে পলাশি রেল কলোনী পাড়ায় দাদুর বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। সে ফরাক্কার বাসিন্দা। রবিবার সকালে দাদুর বাড়ির সামনেই কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে খেলছিল সে। কিন্তু আচমকাই সে নিখোঁজ হয়ে যায়। খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে এলাকাবাসীরা। কয়েক ধণ্টা নিখোঁজ থাকার পর প্রতিবেশী দীনবন্ধু হালদারের বাড়িতে বস্তাবন্দি অবস্থায় নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়।

এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। দীনবন্ধু হালদারের বাড়িতে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। ব্যাপক মারধর করা হয় দীনবন্ধু হালদারকেও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফরাক্কা থানার পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দীনবন্ধু।

এ বিষয়ে নাবালিকার দাদু নিশ্চিত, দীনবন্ধুই তাঁর নাতনিকে খুন করেছে। যদিও কী কারণে খুন সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকার দেহের ঊর্ধাঙ্গে বস্ত্র ছিল না। পাশাপাশি ভিজে অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার হয়। সেক্ষেত্রে জলে ডুবিয়ে নাবালিকাকে খুন করা হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।

জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার আনন্দ রায় জানান, নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রথমে খুনের মামলা দায়ের হয়েছিল। পরে পকসো আইনে ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে।