• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

‘ক্যায়া বানায়া আপ লোগো নে…’, কল্যাণীর প্যান্ডেল দেখে মুগ্ধ মধ্যপ্রদেশের পরিবার

'ক্যায়া বানায়া আপ লোগো নে'। কল্যাণী লুমিনাস ক্লাবের মণ্ডপ দেখে মুগ্ধ মধ্যপ্রদেশের এক পরিবার।

‘ক্যায়া বানায়া আপ লোগো নে’। কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাবের মণ্ডপ দেখে মুগ্ধ মধ্যপ্রদেশের এক পরিবার। ২০২৪-এ ব্যাংককের অরুণ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করে ফের দর্শনার্থীদের চমক দিয়েছে এই ক্লাব। এবার ৩২-তম বর্ষে পদার্পণ করল লুমিনাস ক্লাবের পুজো। সকাল হোক কিংবা সন্ধ্যে, মণ্ডপ চত্বরে কালো মাথা ছাড়া অন্য কিছুই চোখে পড়ছে না।

কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাবের পুজো গত তিনবছর ধরে ভাইরাল। ২০২২ সালে টুইন টাওয়ার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন লুমিনাস ক্লাবের সদস্যরা। দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা দেখতে এসেছিলেন টুইন টাওয়ার। বাদ যাননি বিদেশিরাও। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, রাজ্যের বাইরের দর্শনার্থীরাও ভিড় করেছিলেন টুইন টাওয়ার দেখতে।

২০২৩ সালে ফের চমক দেয় লুমিনাস ক্লাব। চিনের গ্র্যান্ড লিসবোয়ার আদলে মণ্ডপ তৈরি করে ফের দর্শনার্থীদের কল্যাণীমুখী করে লুমিনাস ক্লাব। সেই বছরেও মণ্ডপে ভিড় করেছিলেন রাজ্যের বাইরের দর্শনার্থীরা। আলোর কেরামতি, মণ্ডপসজ্জা দেখে মন ভরে গিয়েছিল দর্শনার্থীদের। সেবার ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে রীতিমত বেগ পেতে হয়েছিল পুলিশ-প্রশাসনকেও।

আর এবার পঞ্চমীর রাতে দেখা মিলল এমনই এক দর্শনার্থী পরিবারের, যাঁরা এসেছেন মধ্যপ্রদেশ থেকে। মোবাইলে মণ্ডপের ভিডিও দেখে চাক্ষুষ মণ্ডপ দেখতে ছুটে এসেছেন ভোপাল থেকে। নাম রমেশ কুমার, পেশায় ব্যবসায়ী। স্ত্রী ও এক কন্যাকে নিয়ে এসেছেন কল্যাণী লুমিনাস ক্লাবের অরুণ মন্দির দেখতে। সোমবার ট্রেনে করে হাওড়া নেমেছেন।

সেখান থেকে কলকাতার হোটেলে উঠেছেন। মঙ্গলবার রাতে পরিবার নিয়ে এসেছিলেন কল্যাণীর লুমিয়ান্স ক্লাবের মণ্ডপ দেখতে। লাইন দিয়ে মণ্ডপ দেখলেন। স্ত্রী, মেয়েকেও ভালো করে মণ্ডপ দেখালেন। হিন্দিতে হঠাৎ নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা কর্মীদের বলে উঠলেন ‘ক্যায়া বানায়া আপ লোগোনে’।

দর্শনার্থীদের দীর্ঘ লাইন থাকায় বেশি কথা বলতে পারেননি। স্ত্রী ও মেয়ের হাত ধরে অপলক দৃষ্টিতে মণ্ডপের ঝিনুকের কাজ, প্রতিমা দর্শন করে বেরিয়ে যান রমেশ কুমার।