জুনিয়র চিকিৎসকদের সমর্থনে এবার আরজি কর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের পর ‘গণ ইস্তফার’ পথে হাঁটলেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র চিকিৎসকরা। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে ৩৫ জন সিনিয়র চিকিৎসক জুনিয়র চিকিৎসকদের সমর্থনে সামিল হলেন ‘গণইস্তফায়’।
পাশাপাশি গণইস্তফার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে রাজ্যের আরও দুটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে। এনআরএস এবং সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে সরকারকে ২৪ ঘন্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে যদি সরকার কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে সেখানকার সিনিয়র চিকিৎসকরাও গণইস্তফার পথে হাটঁবেন বলে জানা গিয়েছে।
গত শনিবার থেকে ১০ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় অনশনে বসেন ৬ জন জুনিয়র চিকিৎসক। তাঁরা প্রায় ৫ দিন ধরে অনশনে বসে আছেন। তারপরও সরকার কেন হস্তক্ষেপ করছেন না? কেন তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন না? এই দাবিকে সামনে রেখে গতকাল আরজি করের সিনিয়র চিকিৎসকরা জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ নিয়ে ‘গণইস্তফা’ দেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে সরকারের উদ্দেশ্যে বেঁধে দেওয়া হয় ২৪ ঘন্টার সময়সীমা। কিন্তু তার মধ্যেও সরকারের পক্ষ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কোনও আলোচনা সভায় না বসায় সকালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসক ইস্তফা দেন। তারপরই গণ ইস্তফা দেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা। আর এবার একই দাবিতে ‘ গণইস্তফায় ‘ সামিল হলেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ৩৫ জন সিনিয়র চিকিৎসক।
আরও ২৪ ঘন্টার সময়সীমা এবার বেঁধে দিলেন এনআরএস এবং সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানান যদি এই সময় সীমার মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সরকার তাহলে তাঁরাও গণ ইস্তফার পথে হাঁটতে বাধ্য হবেন।