• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উচিৎ মানুষের  কাছে ক্ষমা চাওয়া: সুজন চক্রবর্তী

জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয় হয়েছে বিজেপির, অন্যদিকে হরিয়ানায় কংগ্রেস জয়ের গন্ধ ছড়াতে না ছড়াতেই শেষমেশ উড়েছে গেরুয়া আবির। এবার এই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।

বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। (File Photo: IANS)

বাংলায় আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের দশ দফা দাবিকে মান্যতা দিয়েছে সিপিএম নেতৃত্ব। সোমবার রাতে বউবাজারে চিকিৎসক বনাম পুলিশের খন্ডযুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘পুলিশ এখন ছিনতাই করছে। দুর্ভাগ্য আমাদের, পুলিশ ছিনতাই করবে আর আন্দোলনরত চিকিৎসকদের খাট ঘাড়ে করে নিয়ে আসতে হবে! তাঁদের দাবি যুক্তিসঙ্গত। তাঁরা নিজেদের সুরক্ষার জন্য এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভুলত্রুটির বিরুদ্ধে লড়ছেন। পুলিশ অসভ্যতা করতে করতে আর কোথায় যাচ্ছে?’ মহাপঞ্চমীতে কলকাতার রাজপথে মহামিছিল করার ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকগণ, কিন্তু মেলেনি পুলিশি-অনুমতি। উৎসবের মরশুমে কলকাতার রাস্তায় বাড়তি ভিড় এড়াতেই মিছিলে ‘না’ করেছে কলকাতা পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে সুজনের কটাক্ষ, ‘জাস্টিসের নাম শুনলেই যেন সরকারের চুল খাড়া হয়ে যাচ্ছে! ভিক্টোরিয়া থেকে রাজভবনের সামনে কেবল মিছিল করবেন শাসকদলের সদস্যরাই?’ সুজন চক্রবর্তীর এদিনের বক্তব্যে আরজি কর কাণ্ডের পাশাপাশি উঠে এসেছে কুলতলী কাণ্ডের প্রসঙ্গও। নাবালিকা ধর্ষণ-খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। বঙ্গবাসী কি বাস্তবেই উৎসবে ফিরেছেন? এর উত্তরে সুজন বলেন, ‘একদিকে মা দুর্গা ঘরে ফিরছেন, ঠিক তার পাশ দিয়েই ঘরের উমার শবদেহ চলে যাচ্ছে। উৎসব নয়, উৎ-শব চলছে রাজ্যে। উৎসবে ফেরার মতো পরিস্থিতি রাজ্যে নেই।’

জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয় হয়েছে বিজেপির, অন্যদিকে হরিয়ানায় কংগ্রেস জয়ের গন্ধ ছড়াতে না ছড়াতেই শেষমেশ উড়েছে গেরুয়া আবির। এবার এই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। প্রসঙ্গত, হরিয়ানায় হ্যাট্রিক করে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে বিজেপি। কিন্তু ভোটের ফলাফল মানতে নারাজ কংগ্রেস, ইতিমধ্যেই ইভিএম-এ কারচুপির অভিযোগ তুলেছে। সুজন চক্রবর্তী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সকালেই নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানানো হল, কিন্তু চুপ কমিশন! হারলেও জোর করে জিততে হবে বিজেপিকেই। হরিয়ানার মানুষের রায় বিজেপির বিপক্ষে, কিন্তু সর্বতোভাবে বিজেপি ও তার বাহিনী চেষ্টা করেছে জয়ী হওয়ার।’

অন্যদিকে, এক দশক পরে বিধানসভা ভোট হল জম্মু ও কাশ্মীরে। আর তাতে ক্ষমতা ফের চলে এল আবদুল্লা পরিবারের হাতেই। ৯০ আসনের বিধানসভা প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা এবং তাঁর পুত্র ওমরের দল ন্যাশনাল কনফারেন্স বা এনসি জিতেছে ৪২টিতে।

সুতরাং, জম্মু সাড়া দিলেও কাশ্মীরের মন পেলেন না মোদী-শাহ। এ প্রসঙ্গে সুজনের বক্তব্য, ‘একটা রাজ্যকে ভেঙে সেখানে জবরদস্তি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেছিল বিজেপি। মানুষ বিজেপির মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে। ৩৭০ তুলে দেওয়া লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ মেনে নিতে পারেননি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উচিৎ নিজের অপরাধ শিকার করে মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া। দেশের সর্বনাশ করে মানুষ মারছে বিজেপি।’