পুজোর মুখে সুখবর! আচমকা কমলো সোনা-রূপার দাম। কারণ, সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবারে প্রতি দশ গ্রামে প্রায় পাঁচশত টাকার মতো দাম নামলো। যদিও এই দর প্রতিদিন পরিবর্তনশীল। তা সত্ত্বেও পুজোর মুখেই বিয়ের অলঙ্কার কেনায় উৎসাহ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ৭ অক্টোবর সোমবার বাজার বন্ধকালীন ২৪ ক্যারেটযুক্ত প্রতি দশ গ্রাম খাঁটি সোনার পাইকারি দর ছিল ৭৫ হাজার ৯৫০ টাকা। কিন্তু মঙ্গলবার বাজার বন্ধকালীন সময়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল বুলিয়ান মার্চেন্ট এন্ড জুয়েলার্স এসোসিয়েশন কর্তৃক ঘোষিত প্রতি দশ গ্রাম খাঁটি সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ৭৫ হাজার ৫০০ টাকা।
একইভাবে মাত্র একদিনের ব্যবধানে ২৪ ক্যারেটযুক্ত খাঁটি সোনার খুচরো মূল্যও প্রতি দশ গ্রামে ৫০০ টাকা কমেছে। সোমবার প্রতি দশ গ্রাম খাঁটি সোনার খুচরো মূল্য ছিল ৭৬ হাজার ৩৫০ টাকা। মঙ্গলবার সেই দাম কমে হয়েছে ৭৫ হাজার ৮৫০ টাকা।
এদিকে ২২ ক্যারেট হলমার্ক গহনার দামও কমেছে অনেকটা। সোমবার বাজার বন্ধকালীন সময়ে বুলিয়ান এসোসিয়েশন কর্তৃক ঘোষিত প্রতি দশ গ্রাম হলমার্ক গহনার দাম ছিল ৭২,৫৫০ টাকা। মঙ্গলবার বাজার বন্ধকালীন সময়ে প্রতি দশ গ্রাম হলমার্ক গহনার দাম দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ১০০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি দশ গ্রামে কমেছে প্রায় সাড়ে চারশো টাকা।
তবে শুধু যে সোনার দামে ভাটা পড়েছে এমন নয়, রুপোর বাজারেও মিলেছে সুখবর। গতকালের তুলনায় মঙ্গলবার কেজি প্রতি রুপোর দাম কমেছে প্রায় ২ হাজার ২৫০ টাকা। সোমবার প্রতি কেজি পাইকারি রুপোর মূল্য ছিল ৯২ হাজার ৪০০ টাকা। মঙ্গলবার কেজি প্রতি সেই দাম দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজার ১৫০ টাকা। একইভাবে খুচরো রুপোর মূল্যেও পতন ঘটেছে। সোমবার বাজার বন্ধ কালীন সময়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল বুলিয়ান এসোসিয়েশন ঘোষিত প্রতি কেজি খুচরো রুপোর মূল্য ছিল ৯২ হাজার ৫০০ টাকা। মঙ্গলবার প্রতি কেজি খুচরো রুপোর দাম দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজার ২৫০ টাকা।
উৎসবের মুখে সোনা রূপার দামের এই নিম্নগতি ক্রেতাদের মনে যথেষ্ট উৎসাহ জুগিয়েছে। কারণ দুর্গাপূজা ও কালীপূজার মাস শেষ হতে না হতেই সামনের অগ্রহায়ণে বাঙালির বিয়ের মরশুম শুরু হয়ে যাবে। মাঝখানে রয়েছে ভাইফোঁটা। ফলে এই সময়ে বাঙালির মধ্যে গহনার প্রয়োজনীয়তা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। কিন্তু, সম্প্রতি সোনা-রূপার মূল্য বৃদ্ধিতে কেনাকাটায় কিছুটা হলেও ভাটা পড়ে। অনেকের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও বাজেটে কাঁটছাঁট করতে হয়েছে। সোনার অলঙ্কারের পরিমাণ অথবা তুলনায় কম ওজনের অলঙ্কার তৈরি করে অর্থনৈতিক ঘাটতি মেটাতে হয়েছে। এবার দাম কমতেই নতুন করে ক্রেতাদের মধ্যে উৎসাহ দেখা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।