শিলাদিত্য মৌলিকের ছবি ‘সূর্য’ পদার্পন করল ৭৫ দিনে। এই বিষাদময় সময়ে যখন মানুষ প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখতে যাচ্ছেন না, সেই দুঃসময়ে দাঁড়িয়েও ছবিটি এত দিন ধরে হলে রয়েছে, এতে বেশ আনন্দিত পরিচালক। উপলক্ষটি উদযাপন করতে শহরের এক রুফটপ রেস্তরাঁয় হাজির ছিলেন স্বয়ং শিলাদিত্য, ছবির নায়ক বিক্রম চট্টোপাধ্যায় এবং অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। কেক কেটে এই সাফল্য পালন করেন তাঁরা।
ছবিতে বিক্রম ও মধুমিতার জুটির নাম ‘সূর্য’ আর ‘উমা’। নায়িকার নামের সঙ্গে মিল রেখেই এখানে বিজয়া দশমীতে নায়কের সঙ্গে মিলন হয় তাঁর। এই ঘটনাটির সঙ্গে সুন্দরভাবে মিলেমিশে গেছে আমাদের বাঙালি-জীবন। এছাড়াও ছবিতে ‘দিয়ার’ চরিত্রে ভালো লাগে দর্শনা বণিকের অভিনয়।
‘সূর্য’ একটি মিষ্টি প্রেমের ছবি। মালয়ালম সিনেমা ‘চার্লি’ এবং তামিল ছবি ‘মারা’ থেকে কিছুটা অনুপ্রেরণা গ্রহণ করলেও, নির্দেশক তাঁর স্বকীয়তা বজায় রেখেছেন ছবিতে। সেই কারণেই ছবির চরিত্ররা বাস্তবের মাটিতে পা ফেলে হাঁটে। অতিনাটকীয়তার পরিবর্তে এখানে নায়ককে দেখা যায় বিজয়া দশমীতে আর-পাঁচজন বাঙালি যুবার মতোই তার প্রেয়সীকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে।
বাংলার ল্যান্ডস্কেপকে সাধ্যমতো ব্যবহার করেছেন সিনেমাটোগ্রাফার অয়ন শীল। বিপন্ন মানুষের পাশে থাকার গল্প সূর্য। বিক্রমের চরিত্রটির সঙ্গে অচিরেই মিল পাওয়া যাবে রবিনহুডের। সাধারণ মানুষের বিপদে যে দ্বিধাহীন ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বিক্রম মনে করেন, ‘ শহর জুড়ে যখন বিক্ষোভের আঁচ ও বিষাদ, ঠিক সেই সময় দাঁড়িয়েও কিছুটা পজিটিভ ভাইবস বয়ে আনবে এই ছবি।