• facebook
  • twitter
Monday, 7 October, 2024

জয়নগর কাণ্ড : কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে হল মৃত শিশুর ময়নাতদন্ত

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হল জয়নগরের নির্যাতিতার দেহ। পুলিশি কড়া নিরাপত্তায় শেষ হয় ময়নাতদন্ত।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হল জয়নগরের নির্যাতিতার দেহ। পুলিশি কড়া নিরাপত্তায় শেষ হয় ময়নাতদন্ত। সোমবার সকালে কলকাতার কাঁটাপুকুর মর্গ থেকে শববাহী গাড়িতে করে দেহ কল্যাণীতে নিয়ে আসে পুলিশ। ঘড়ির কাঁটায় তখন ঠিক ১০টা। কল্যাণী জেএনএম হাসপাতাল মর্গে পৌঁছায় দেহ।

এরপর ম্যাজিস্ট্রেট না আসায় বেশ কিছুক্ষণ মর্গের বাইরে শববাহী গাড়ির মধ্যেই রাখা হয় দেহ। ম্যাজিস্ট্রেট এলে শুরু হয় ময়নাতদন্ত। ময়নাতদন্ত করেন কল্যাণী এইমসের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। কল্যাণী পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় শেষ হয় জয়নগরের মৃত শিশুর ময়নাতদন্ত। মর্গে এদিন উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) সিদ্ধার্থ ধাপোলা। ছিলেন কল্যাণী থানার আইসি দেবাশীষ পন্ডা ও কল্যাণী থানার অফিসাররা।

কল্যাণীতে জয়নগরের মৃত শিশুর দেহ পৌঁছাতেই সেখানে পৌঁছান কল্যাণী বিধানসভার বিধায়ক অম্বিকা রায়। যদিও তিনি মর্গের গেটের ভিতর ঢুকতে পারেননি। একে একে মর্গের গেটের সামনে জড়ো হন আইএসএফ, ডিওয়াইএফআই, এসএফআই ও বিজেপির কর্মী, সমর্থকরা। দফায় দফায় দেখান বিক্ষোভ। স্লোগানে ভরে ওঠে মর্গ চত্বর।

যদিও পুলিশি নিরাপত্তাও ছিল কড়া। পুলিশ, র‍্যাফ মর্গের সামনে মোতায়েন ছিল। সূত্রের খবর, মৃত শিশুর পরিবার থেকে পাঁচজন সদস্য এদিন কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন। যদিও সাংবাদিকদের সামনে কেউ মুখ খুলতে চাননি।

শনিবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানা এলাকায় ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে।  শুক্রবার দুপুরে টিউশন পড়তে গিয়েছিল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। পড়া শেষ হওয়ার পর ওই ছাত্রী বাড়িতে ফোন করে জানায়, সে বাড়ি ফিরছে। এর কিছুক্ষণ পর থেকেই তার আর হদিশ মিলছিল না। এরপর গভীর রাতে একটি জলাভূমি থেকে উদ্ধার হয় তার দেহ। ইতিমধ্যেই এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।