• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

হরিয়ানায় আজ বিজেপি-জেজেপি জোট সরকার শপথ নেবে

এম এল খাট্টার রবিবার দ্বিতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর তখতে বসছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে জেজেপি নেতা দুষ্মন্ত চৌটালার নাম ঘােষণা করা হয়েছে।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিজেপির অনেক নেতা ও মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। (Photo: Twitter | @mlkhattar)

এম এল খাট্টার রবিবার দ্বিতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর তখতে বসছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে জেজেপি নেতা দুষ্মন্ত চৌটালার নাম ঘােষণা করা হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে ৯০ আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৪০টি আসন। ম্যাজিক ফিগার থেকে ছয়টি আসন কম। অন্যদিকে জেজেপি পেয়েছে ১০টি আসন। এছাড়া সাত নির্দল বিধায়ক বিজেপিকে সকার গঠনে নিঃশর্ত সমর্থনের কথা জানিয়েছে।

অন্যদিকে কংগ্রেস পেয়েছে ৩১টি আসন। ফলে বিজেপির পক্ষে দ্বিতীয়বারের জন্য হরিয়ানায় সরকার গঠনে কোনও বাধাই থাকল না। ইতিমধ্যেই খাট্টার ও চৌটালা এবং সাত নির্দল বিধায়ক রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন। হরিয়ানার রাজ্যপাল সত্যদেও নারায়ণ আর্য মনােহর লাল খাট্টারকে সরকার গঠনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। রবিবার দুপুর ২.১৫টায় রাজভবনে দীপাবলি উৎসবের দিনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।

এদিকে দুর্নীতির অভিযােগে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুষ্মন্ত চৌটালার পিতা অজয় চৌটালাকে তিহার জেল থেকে দুই সপ্তাহের জন্য প্যারােলে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। অজয় চৌটালা শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।

এর আগে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষে পর্যবেক্ষক হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের উপস্থিতিতে মনােহর লাল খাট্টার বিধায়ক দলের নেতা নির্বাচিত হন।

বিজেপির পক্ষে বিতর্কিত বিধায়ক গােপাল কান্ডার সমর্থন গ্রহণ করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১২ সালে এক এয়ারহােস্টেসকে আত্মহত্যার প্ররােচনা দেওয়া ও পরবর্তীতে এয়ারহােস্টের মা-এর আত্মহত্যার পিছনে প্রধান হিসেবে গােপাল কান্ডার নাম উঠে আসে। এসময় গােপাল কান্ডা কংগ্রেসের ভূপীন্দর হুডা মন্ত্রিসভায় পুলিশ মন্ত্রী ছিলেন। পরে তাঁকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। গােপালকে পরে পুলিশ সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেফতার করেছিল।

নির্দল বিধায়করা সকলেই বিজেপিকে সরকার গঠনে প্রথমেই নিঃশর্ত সমর্থন জানান। কিন্তু বিজেপির প্রবীণ নেত্রী উমা ভারতী গােপাল কান্ডার কুকীর্তির কথা বিবেচনা করে তাঁর সমর্থন না নেওয়ার জন্য জোর সওয়াল করেন।

হরিয়ানা বিধানসভার ৯০ আসনে নির্বাচনে সংবাদমাধ্যমের সমীক্ষায় বিজেপি দ্বিতীয়বারের জন্য বিপুল সংখ্যাধিক্যে বিজয়ী হওয়ার কথা ঘােষণা করেছিল। কিন্তু বুথ ফেরত সমীক্ষার সকল ভবিষ্যৎবাণী নস্যাৎ করে দিয়ে বিজেপির আট জন মন্ত্রীর শােচনীয় পরাজয়ের ফল সামনে আসে।

এর আগে সাধারণ নির্বাচনে হরিয়ানায় বিজেপি দশটি সংসদীয় আসনই দখল করেছিল। ফলে বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য বিজেপি যে ৯০টি আসনের মধ্যে ৭৫টি আসনেই জয়লাভ করবে বলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব একেবারে নিশ্চিত ছিল। বাস্তবে কিন্তু বিজেপিকে নির্দল ও অন্য দলের সমর্থন নিয়ে জোট সরকার করতে হচ্ছে।