চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ সামনে আসতেই শনিবার থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে জয়নগর। বাম-বিজেপির বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে কাটাপুকুর মর্গের সামনেও। এবার বিজেপির কুলতলি থানা ঘেরাও অভিযান ঘিরেও ধুন্ধুমার।
পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে রবিবার ‘কুলতলি থানা চলো’-র ডাক দেওয়া হয়েছিল। নেতৃত্বে সুকান্ত মজুমদার। তবে থানার কাছাকাছি পৌঁছতেই বিজেপির নেতা-কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এর পরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বচসা দিয়ে শুরু হলেও পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের। রাস্তায় বসে পড়েই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালও।
সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পাল অভিযোগ তোলেন, তাঁদের কোনওমতেই থানার সামনে যেতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ ব্যারিকেড করে তাঁদের থানায় ঢুকতে বাধা দেয়। অকারণে তাঁদের গায়ে হাত তোলাও হয় বলে অভিযোগ। এর পরই সুকান্ত-অগ্নিমিত্রার নেতৃত্বে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলতে থাকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার তুলে পুলিশ মন্ত্রীর পদ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিও জানান তাঁরা।
সুকান্তর অভিযোগ, রাজ্যের প্রায় প্রতিটি প্রান্তেই নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, খুনের মতো নারকীয় ঘটনা ঘটছে। কিন্তু তারপরেও পুলিশ চুপ। অবিলম্বে নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে সুর চড়ান তিনি। পাশাপাশি সিবিআই তদন্তেরও দাবি তোলেন সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে অগ্নিমিত্রা পালের প্রশ্ন, কেন বিজেপির মিছিল থানার সামনে যেতে দেওয়া হল না? কেনই বা ভয় পাচ্ছে পুলিশ? ওঁরা তদন্ত করা তো দূর, উল্টে সব ঘটনার মোড় ঘোরাতে উঠেপড়ে লেগেছে।
একদিকে কুলতলি থানার সামনে যখন ধুন্ধুমার চলছে ঠিক তখনই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জয়নগর থানা এলাকাও। জয়নগর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এসইউসইআই সমর্থকরা। রবিবার সকাল থেকেই মঞ্চ বেঁধে সুবিচারের দাবিতে সুর চড়াতে থাকেন তাঁরা।
চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করে খুনের ঘটনার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। রাজ্য প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের তালিকা ক্রমশই লম্বা হয়। এই আবহেই রবিবার কুলতলি থানা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। জয়নগর থানার সামনে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিল এসইউসইআই সমর্থকরাও। বাংলার মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ পুলিশ। এমনটাই অভিযোগে সরব বিরোধীরা।