• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

আরজি করে কাউন্সিলের বৈঠকে উত্তেজনা, থ্রেট কালচারে জড়িতদের চাই গ্রেপ্তারি

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কাউন্সিলের বৈঠকে শনিবার সকাল থেকে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়

আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। ফাইল চিত্র

‘থ্রেট কালচারে’ জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি, শনিবার আরজি কর হাসপাতালে কাউন্সিলের বৈঠকে এমনটাই দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কাউন্সিলের বৈঠকে শনিবার সকাল থেকে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়। কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকের আগেই বিক্ষোভে অংশ নেন তাঁরা। বৈঠকের পর প্রিন্সিপালের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

হাসপাতালে ”থ্রেট কালচার” বন্ধে আগেই পদক্ষেপ নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতা আশিস পাণ্ডের গ্রেপ্তার হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যিনি প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

ইতিমধ্যেই ‘থ্রেট কালচার’ বন্ধে গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি তাঁদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। বৈঠকের আগে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ছিল আশিস পাণ্ডে ছাড়াও, থ্রেট কালচারে যাদের নাম এসেছে তাদের সকলকেই গ্রেপ্তার করতে হবে।
তদন্তে দেখা গিয়েছে, ৫৯ জন জুনিয়র ডাক্তার, যার মধ্যে ইন্টার্ন, পিজিটি এবং এমবিবিএস শিক্ষার্থীরা ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছিল। চার থেকে পাঁচজন বাদে বাকিদের সবাইকে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের মুখপাত্র অনিকেত মাহাতো জানিয়েছেন, ‘৯ তারিখের ঘটনা এবং যারা ধারাবাহিকভাবে কলেজের পরিবেশ নষ্ট করছে, তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। আশিস পাণ্ডের মতো ‘থ্রেট কালচারে’ যুক্ত সবাইকে শাস্তি না দিলে, আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাব।’

প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকে উত্তপ্ত গোটা দেশ। প্রতিবাদের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে শহর থেকে জেলায় জেলায়। কার্যত, এই ঘটনার তদন্তের সময়ই উঠে আসে থ্রেট কালচারের অভিযোগ। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, জড়িত ছিলেন এই থ্রেট কালচারের সঙ্গে। যদিও তাঁকে হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের দফায় দফায় হাসপাতালে তলব করেছে তদন্ত কমিটি। তারপরেও কেন কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হয়নি, সে নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে শনিবার বিক্ষোভ দেখান আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার, ইন্টার্ন, ডাক্তারি পড়ুয়ারা।