জয়নগরে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তকে ভোররাতেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বারুইপুর পুলিশ জেলার এসপি পলাশচন্দ্র ঢালি বলেন, ‘খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। ধর্ষণের যে অভিযোগ উঠছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেননি অভিযুক্ত। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমাদের পুলিশের পুরো টিম ঘটনাস্থানে আছে। এখানে মহিষমারি পুলিশ ক্যাম্প আছে। আমরা রাত ৯টায় খবর পেয়েছি। তারপরই তদন্ত শুরু করি।’
আরজি কর কাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে ফের ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানা এলাকায়। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে টিউশন পড়তে গিয়েছিল চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রী। পড়া শেষ হওয়ার পর ওই ছাত্রী বাড়িতে ফোন করে জানায়, সে বাড়ি ফিরছে। এর কিছুক্ষণ পর থেকেই তাঁর আর হদিশ মিলছিল না। এরপর গভীর রাতে একটি জলাভূমি থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই ছাত্রী যখন নিখোঁজ ছিল, তখন পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল। পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। পরে দেহ উদ্ধারের পর টনক নড়ে পুলিশের। কার্যত চাপে পড়েই অভিযোগ নিতে বাধ্য হয় পুলিশ। এক যুবককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
উত্তেজিত জনতা জয়নগর থানার মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায়। লাঠি, ঝাঁটা হাতে পুলিশকর্মীদের তাড়া করেন গ্রামবাসীরা। প্রাণভয়ে এলাকা ছেড়ে পালায় পুলিশ। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়।