• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বিরিয়ানিতে রঙের বদলে বিষ!

বিরিয়ানিতে হলুদ বা কেশরের বদলে ব্যবহার করা হচ্ছে বিষাক্ত হলুদ রঙ! বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তুলকালাম হুগলির কোন্নগরের চলচিত্রম মোড়ে।

বিরিয়ানিতে হলুদ বা কেশরের বদলে ব্যবহার করা হচ্ছে বিষাক্ত হলুদ রঙ! বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তুলকালাম হুগলির কোন্নগরের চলচিত্রম মোড়ে। জানা গিয়েছে, শিল্পে ব্যবহারযোগ্য হলুদ রঙ খাদ্য দ্রব্যের হলুদ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বিরিয়ানিতে। খাবারে বিষাক্ত রঙ মেশানো নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই পৌরসভার পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হল বিরিয়ানির দোকান।

সূত্রের খবর, কয়েকদিন ধরে কোন্নগর অঞ্চলের বাসিন্দারা পেটের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়, জলের কারণে পেটের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ঘটনার তদন্তে নামে কোন্নগর পুরসভা। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় তল্লাশি। ফাস্ট ফুডের দোকানগুলিতেও চলে তদন্ত। তখনই ধরা পরে, একটি বিরিয়ানির দোকানে গেঞ্জি রঙ করার হলুদ রঙ ব্যবহার করা হচ্ছে বিরিয়ানিতে।

শিল্পে ব্যবহৃত রঙের প্যাকেটে স্পষ্ট লেখা থাকে, ‘শুধুমাত্র শিল্পে ব্যবহারের জন্য, মানুষের খাওয়ার জন্য নয়’। তারপরেও কীভাবে সেই রঙ হলুদ বলে ব্যবহার করা হচ্ছে বিরিয়ানিতে? পৌরসভার তরফে বিরিয়ানির দোকানের কারিগর গুলাম হোসেনকে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি অবাক করা উত্তর দেন। তিনি জানান, বিরিয়ানিতে খাবারে ব্যবহারযোগ্য হলুদই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু হলুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় রঙ মেশানো হয়। তাঁর দাবি, ‘ রঙ ছাড়া বিরিয়ানি হবে কীভাবে?’

পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাস জানান, কোন্নগরের ওই ফাস্টফুডের দোকানের ফুড লাইসেন্স নেই। তাই বিষাক্ত জিনিস মিশিয়ে মানুষ মারার পরিকল্পনা চলছে। তিনি আরও জানান, ‘শুধুমাত্র একটি দোকান নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অনৈতিকভাবে গজিয়ে উঠেছে হাজারও ফাস্টফুড দোকান। যেখানে কেমিক্যাল মেশানো খাবার খাইয়ে মানুষ মারার চক্র চলছে’।