• facebook
  • twitter
Tuesday, 22 October, 2024

পতঞ্জলি ওয়েলনেস সেন্টার গুয়াহাটিতে চালু করল সংহত সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্র

গুয়াহাটির এই কেন্দ্রটি যোগব্যায়াম, আয়ুর্বেদ, পঞ্চকর্ম, শতকর্ম, জোঁক থেরাপি, আকুপ্রেসার, আকুপাংচার এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসা সহ বিস্তৃত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করবে।

পতঞ্জলি ওয়েলনেস সেন্টার চালু করল সমন্বিত সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা। উত্তর-পূর্ব ভারতের এটাই প্রথম সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা কেন্দ্র। ২ অক্টোবর, বুধবার এই পরিষেবা কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন সমাজ সংস্কারক ও প্রাইড ইস্ট এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের সিএমডি রিনিকি ভুঞা শর্মা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যোগগুরু স্বামী রামদেব।

উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে অবস্থিত পবিত্র তীর্থক্ষেত্র মা কামাখ্যা মন্দিরের কাছেই অবস্থিত গুয়াহাটির এই কেন্দ্রটি এই অঞ্চলের সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে মনে করা হয়। শ্রীমন্ত শঙ্করদেব এবং শ্রী শ্রী মাধব দেবের শিক্ষা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই এই উদ্যোগ। যা আধুনিক স্বাস্থ্য অনুশীলনের সঙ্গে প্রাচীন ঐতিহ্যকে কেন্দ্রীভূত করেছে।

বাবা রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণের পরিচালনায় পতঞ্জলি ওয়েলনেস সেন্টারের গুয়াহাটির এই কেন্দ্রটি যোগব্যায়াম, আয়ুর্বেদ, পঞ্চকর্ম, শতকর্ম, জোঁক থেরাপি, আকুপ্রেসার, আকুপাংচার এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসা সহ বিস্তৃত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করবে। এই কেন্দ্রটির লক্ষ্য, ব্যাপকভাবে সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করা।

সদ্য প্রতিষ্ঠিত এই পরিষেবা প্রদান কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বাবা রামদেব এই কেন্দ্রের পরিষেবাগুলির ওপর বিশদ দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। তিনি সাধ্বী দেব স্বরূপ, স্বামী জগৎদেব এবং স্বামী সমগ্রদেবের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। যাঁদের নির্দেশনায় এই কেন্দ্রটি পরিচালিত হবে।

প্রসঙ্গত পতঞ্জলি যোগপীঠ ট্রাস্ট আসাম এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চল জুড়ে শিক্ষা, জৈব চাষ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ সহ বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বোরোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল রিজিয়নে (বিটিআর), ভারতীয় শিক্ষা পরিষদের অধীনে দুটি বিদ্যালয়—‘আচার্য কুলাম’—চিরাং-এ ৫০০ টিরও বেশি শিশু এবং কুমারিকাতায় ৭০০-এর বেশি ছাত্র-ছাত্রীকে বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করছে। একইধরনের আরও একটি স্কুল চালু রয়েছে অরুণাচল প্রদেশের সেজোসাতেও।

ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রকের অধীনে প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় শিক্ষা পরিষদ এই প্রাচীন এবং আধুনিক শিক্ষা অনুশীলন কেন্দ্রগুলিকে সমন্বিত করেছে। পাশাপাশি, কুমারিকাটা এবং চিরাংয়ে জৈব পদ্ধতিতে চাষ, গবাদি পশু পালন এবং ভেষজ কৃষি প্রকল্পের কাজও চলছে। এছাড়া কুমারিকাটায় ১৫০০ ছাত্রছাত্রী নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক মানের স্কুল নির্মাণেরও কাজ চলছে।

এদিন বাবা রামদেব বলেন, পতঞ্জলি ওয়েলনেস সেন্টারের মাধ্যমে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে এমন নয়, সেই সঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে এখানকার স্থানীয় মানুষের কর্ম সংস্থানেরও সুযোগ রয়েছে। রামদেব বলেন,’এই স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রগুলিতে আমরা ডাক্তার, থেরাপিস্ট এবং সহায়তা কর্মীদের চাকরি দেওয়ার মাধ্যমে স্থানীয় প্রতিভাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি।’

এদিনের অনুষ্ঠানে পতঞ্জলি পরিবারের সম্মানিত সদস্য মি. বিবেক দাগা এবং মি. বিকাশ খান্ডেলওয়ালের পাশাপাশি ডক্টর কৌশলেন্দ্র (প্রাকৃতিক চিকিৎসা), বৈদ্য আদিত্য (আয়ুর্বেদ), ডাঃ মাধুরী (প্রাকৃতিক চিকিৎসা), ডাঃ দারাথি (ফিজিওথেরাপি), এবং বৈদ্য সত্য প্রকাশ (আয়ুর্বেদ) সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।