ফের নতুন করে বিপাকে পড়লেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল। দু’বছরের একটি পুরানাে মামলা নিয়ে আবার তাঁর বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিপিআই। মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান, এটা বিজেপির রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
উল্লেখ্য, বিজেপির নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংকে বিধানসভা ভােটে পরাজিত করে ২০১৮ সালের নভেম্বরে ছত্তিশগড়ে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেশ বাঘেল। সিডি মামলা ছত্তিশগড় থেকে সরানাের আবেদন নিয়ে সােমবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় গােয়েন্দা বিভাগ (সিবিআই)। শীর্ষ আদালত এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে নােটিশ পাঠিয়েছে।
২ বছর পুরানাে এই সিডি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বর্তমানে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল ও সাংবাদিক বিনােদ ভার্মা। এরা দুজন এই মামলায় জেল খেটেছিলেন। মামলার তদন্তকারী সিবিআই এর অভিযােগ, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বাঘেল ঘটনার সাক্ষীদের রীতিমতাে ভয় দেখাচ্ছেন। তাই এই মামলা ছত্তিশগড়ের কোনাে আদালতের জায়গায় দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার দাবি সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এর এজলাসে জাতীয় এই গােয়েন্দা সংস্থার হয়ে জানিয়েছে আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সেই সঙ্গে তিনি এই মামলায় সাক্ষীর লিখিত বয়ান সুপ্রিমকোর্টে পেশ করেছেন।সেখানে স্পষ্ট লেখা হয়েছে বাঘেলের পুলিশ ওই সাক্ষীকে ভয় দেখাচ্ছে। এমনকী তাঁর নামে মিথ্যে মামলা রুজু করেছে রাজ্য পুলিশ।
২০১৭ সালে রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রাজেশ মুনতের বিরুদ্ধে একটি সিডি প্রকাশিত করেছিলেন সাংবাদিক ভার্মা। তাঁর বক্তব্য ছিল স্টিং অপারেশনে দেখা যায় মন্ত্রী সেক্স র্যাকেট চালাচ্ছেন। তাঁর এই সিডিকে হাতিয়ার করে রমন সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা তথা আজকের ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল।
অন্যদিকে মুনতের অভিযােগ তাঁকে ওই সিডি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করছিলেন ভূপেশ ও ভার্মা। তিনি ওই দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই বিষয়ে শুরু থেকে তদন্ত করছে সিবিআই। পরে এই দুজনকেই গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশ। তবে গ্রেফতারের পরে জামিন নিতে অস্বীকার করেছিলেন ভূপেশ। তিনি জেলে আমরণ অনশনের হুমকি দিয়েছিলেন। পরে তিনি মুক্তি পান। ভূপেশের সােজা কথা, প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি।