• facebook
  • twitter
Wednesday, 2 October, 2024

মহালয়ার সকালে নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআই –এর বিশেষ সফর

তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে নির্যাতিতার বাবা বলেছিলেন, ' ৯ অগস্ট থেকে ১ অক্টোবর। দেখতে দেখতে ৫৪ দিন অতিক্রান্ত। প্রমাণ লোপাটের জন্য যারা গ্রেপ্তার হল, কাদের আড়াল করতে তারা প্রমাণ লোপাট করেছিল, সেই উত্তর এখনও পেলাম না'। 

পিতৃপক্ষের সমাপ্তি ঘটিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হয়েছে। ভোর থেকেই নদীর ঘাটগুলোতে তর্পণের ভিড় জমেছে। আর মাত্র এক সপ্তাহ পরেই সারা রাজ্য শারদোৎসবে মেতে উঠবে। এই পরিস্থিতির মাঝেই বুধবার সকালে আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার বাড়িতে উপস্থিত হন সিবিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বুধবার দুপুরে সিবিআইয়ের চার সদস্যের একটি টিম সোদপুরে নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছেছে। তদন্তকারীদের কাছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ এসেছে, যেগুলি খতিয়ে দেখার জন্যই মহালয়ার দিনে তাঁরা নির্যাতিতার বাড়িতে যান।

তবে সিবিআই কর্মকর্তারা এখনও পর্যন্ত এই প্রমাণ সংক্রান্ত কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেননি। নির্যাতিতার বাবা-মা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলেও, তদন্তের স্বার্থে তাঁরাও এব্যাপারে কিছু বলতে চাইছেন নারাজ। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে আলোচনা করে তদন্তের ব্যাপারে জানতে চায় সিবিআই। সেই কারণেই আজকের এই আকস্মিক সফর। এছাড়াও, নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কাছে কোনো নতুন তথ্য রয়েছে কিনা, সেটিও জানতে চায় সিবিআই।

আরজি কর কাণ্ডে প্রায় ২ মাস অতিক্রান্ত হতে চলল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তদন্তের বিশেষ কোনও অগ্রগতি হয়নি এখনও পর্যন্ত। দুর্গাপুজো শেষে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি রয়েছে, যেখানে সিবিআইকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তদন্ত অব্যাহত রাখতে বলেছেন। তাই সিবিআই তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে এগোতে চাইছে, কারণ সেসব আদালতে উপস্থাপন করতে হবে। নির্যাতিতার পরিবারের দেওয়া চিঠি ও অন্যান্য তথ্যপ্রমাণ যাচাই করতে আজ বাবা-মায়ের সাথে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। এর আগে, তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে প্রেসিডেন্সি জেলে যান গোয়েন্দারা। তারপরই তাঁরা আজ নির্যাতিতার বাড়িতে উপস্থিত হন। পুজোর আগে নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআইয়ের এই সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রসঙ্গত, নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল ৫০টিরও বেশি সংগঠন। সেখানে হাজির হয়েছিলেন নির্যাতিতার মা, বাবা-সহ পরিবারের সদস্যরা।

সেখানে তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে নির্যাতিতার বাবা বলেছিলেন, ‘ ৯ অগস্ট থেকে ১ অক্টোবর। দেখতে দেখতে ৫৪ দিন অতিক্রান্ত। প্রমাণ লোপাটের জন্য যারা গ্রেপ্তার হল, কাদের আড়াল করতে তারা প্রমাণ লোপাট করেছিল, সেই উত্তর এখনও পেলাম না’।