কী জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর? অক্টোবর পড়ে গেলেও ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল অবস্থা দক্ষিণবঙ্গবাসীর। বাদ নেই উত্তরবঙ্গও। তবে গত কয়েকবছর ধরে পুজোর সময় বৃষ্টির সাক্ষী থাকছে রাজ্যবাসী।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। আপামর বাঙালি গোটা বছর অপেক্ষা করে থাকে বছরের এই পাঁচটা দিনের জন্য। তখন যতই গরম থাকুক না কেন, বৃষ্টি চায়না কেউই।
যদিও প্রথম থেকেই পুজোতে বৃষ্টি হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানানো হয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে। মহালয়ার দিন দক্ষিণবঙ্গবাসীর জন্য আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে দেওয়া হলো বিশেষ বার্তা। পুজোয় দক্ষিণবঙ্গে নেই ভারীবৃষ্টির পূর্বাভাস। তবে গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে পুজোর ৫ দিন চলবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত। বাংলাদেশ থেকে আন্দামানের মধ্যে তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত, আর যার ফলেই পুজোর সময় রয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস।
তবে পুজোর আগে শুক্রবার ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দুই বঙ্গ জুড়ে। এবং শনিবার তা বাড়বে বলেই জানা যাচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ – পূর্ব বাংলাদেশে ঘূর্ণাবর্ত ঘনীভূত হওয়ার ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। ফলস্বরূপ, শুক্রবার থেকে দুই রাজ্যে রয়েছে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা। শুক্রবার এবং শনিবার এই দু’দিন রয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারীবৃষ্টির সম্ভাবনা। ফলে, মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নিষেধ যেতে করা হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে সপ্তাহান্তে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও পুজোর ৫ দিন নেই অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
শনিবার অবধি দক্ষিণবঙ্গের আকাশে দেখা মিলবে কালো মেঘের। আদ্রতা বেশি থাকায় অস্বস্তিও বজায় থাকবে। পাশাপাশি আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গেও। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বাকি সব জেলায় রয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা।