ড্রোনের প্রতি বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে দেশে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন। বর্তমান সময়ে যুদ্ধের বিষয়ে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল কিংবা রাশিয়া। ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার জন্যও ড্রোনের ব্যবহার চলছে। কৃষি ক্ষেত্রেও ড্রোনের মাধ্যমে কাজ হচ্ছে। ভারতে ১.৮০ লক্ষ কোটি ড্রোন তৈরি করা যেতে পারে। আগামী বছরের দিকে লক্ষ্য রাখলে দেখা যাচ্ছে ড্রোন উৎপাদক সংস্থাগুলিতে গ্রোথ হতে পারে। ২০২২ থেকে ২০২৭ অর্থবর্ষের দিকে নজর রাখলে দেখা যাবে ভারতের ড্রোন ইন্ডাস্ট্রিতে ৮০ শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে। কিছু ড্রোন উৎপাদক সংস্থার স্টকের দিকে আগ্রহ দেখাতে পারেন।
জেন টেকনোলজিস: অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম তৈরির কাজ করে জেন টেকনোলজিস সংস্থা। ডিফেন্সে ড্রোন বিষয়ক সরঞ্জাম তৈরি করে এই সংস্থা। জাতীয় সুরক্ষার বিষয়ে এই সংস্থার বিশেষ নাম রয়েছে। গতবারের তুলনায় এই অর্থবর্ষের প্রথম কোয়ার্টারের রেভিনিউ বেড়ে হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা। বৃদ্ধি পেয়েছে ৯২ শতাংশ। ২০২৫ অর্থবর্ষে ৯০০ কোটি রেভিনিউ স্পর্শ করার টার্গেট নিয়েছে এই সংস্থা।
আইডিয়াফর্জ টেকনোলজি: ড্রোন প্রযুক্তির জগতে অন্যতম সনামধন্য সংস্থা আইডিয়াফর্জ। সুরক্ষা এবং নজরদারি চালানোর জন্য আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল বানায় এই সংস্থা। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সমাদৃত হয় এই সংস্থা । ভারতের ইউএভি বাজারের বড় অংশ জুড়ে প্রাধান্য পায় আইডিয়াফর্জ টেকনোলজি। গারুদা এরোস্পেস ড্রোন উৎপাদক সংস্থার সঙ্গেও কাজ করছে এই সংস্থা। ড্রোনের পারফরম্যান্স ধারালো করাই উদ্দেশ্য এই সংস্থার।
ড্রোনআচার্য এরিয়াল ইনোভেশনস: এটি একটি ভারতীয় সংস্থা। মূলত কমার্সিয়াল সার্ভিসের ক্ষেত্রে ড্রোন তৈরি করে। দেশের বাইরে আমেরিকাতেও ব্যবসা চালায় ড্রোনআচার্য। মহারাষ্ট্রে ড্রোন বানানোর বিষয়ে খোলা হয়েছে নতুন ইউনিট। ২০২৪ অর্থবর্ষে রেভিনিউ হয়েছে ৩৭.৩ কোটি টাকা। ৯৪.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে রেভিনিউ। এই অর্থবর্ষে ড্রোনআচার্য এরিয়াল ইনোভেশনস সংস্থার নেট প্রফিটের পরিমাণ ৬.২ কোটি টাকা। যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৮১.৪ শতাংশ।