• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

নয়া প্রজন্মের লগ্নিকারীদের অস্ত্র ‘ফ্লেক্সি ক্যাপ’

বৃহৎ হোক কিংবা মাঝারি বা ক্ষুদ্র, সব শ্রেণির মার্কেট ক‌্যাপিটালাইজেশনই মিলবে এই ফ্লেক্সি ক‌্যাপ ফান্ডে। বিশেষ করে যাঁরা লং টার্ম ইনভেস্টমেন্টে বিশ্বাসী তাঁদের জন্য এই জাতীয় ফান্ড একেবারে আদর্শ। এই ফ্লেক্সি ক‌্যাপ ফান্ডে নূন্যতম ৬৫% অ‌্যাসেট ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করা যায়।

স্টক মার্কেটে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যে ঝুঁকি নিতেই হয় তা বিনিয়োগকারীদের কাছে অজানা নয়। তা সত্ত্বেও যাঁরা স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করে বেশি রিটার্ন পেতে চান তাঁদের ক্ষেত্রে আকর্ষণের বড় জায়গা ইক্যুইটি। এটি মূলত একটি ডাইভারসিফায়েড পোর্টফোলিও যেখানে বিভিন্ন ধরনের সেক্টরের উপস্থিতি রয়েছে, যা প্রায় সব শ্রেণির মানুষের কাছেই গ্রহণযোগ্য। এবার বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে এমনই এক হাতিয়ার যা প্রয়োগ করে ব্যাপকভাবে লাভবান হতে পারবেন তাঁরা।

সেই অস্ত্রটি হল ফ্লেক্সি ক‌্যাপ ফান্ড। বৃহৎ হোক কিংবা মাঝারি বা ক্ষুদ্র, সব শ্রেণির মার্কেট ক‌্যাপিটালাইজেশনই মিলবে এই ফ্লেক্সি ক‌্যাপ ফান্ডে। বিশেষ করে যাঁরা লং টার্ম ইনভেস্টমেন্টে বিশ্বাসী তাঁদের জন্য এই জাতীয় ফান্ড একেবারে আদর্শ। এই ফ্লেক্সি ক‌্যাপ ফান্ডে নূন্যতম ৬৫% অ‌্যাসেট ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করা যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, লগ্নিকারীরা যদি সর্বনিম্ন পাঁচ বছরের জন্য এই টাকা ফ্লেক্সি ক‌্যাপ ফান্ডে রাখেন তাহলে ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। ফ্লেক্সি ক‌্যাপ ফান্ডগুলো বিশেষ করে ওপেন এন্ড হওয়ায় প্রয়োজনমতো যে কোনও দিন তা থেকে বেরিয়েও আসতে পারেন লগ্নিকারীরা। বিনিয়োগকারীরা চাইলে ১০ থেকে ১৫ বছর ধরেও লগ্নি টিকিয়ে রাখতে পারেন।

সেক্ষেত্রে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। তবে এই ১০ বছরে ইক্যুইটি মার্কেট যে ওঠানামা করবে সেই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। যদিও মার্কেট ওঠানামার বিষয়টি লগ্নিকারীদের অজানা নয়। তাই ইনভেস্টমেন্ট চলাকালীন এই ধরনের পরিস্থিতি আসতেই পারে। এই অবস্থায় চিন্তা না করেই ফ্লেক্সি ক‌্যাপ ফান্ডে লগ্নির কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

লগ্নির ক্ষেত্রে লগ্নিকারীদের মধ্যে অনেক সময় বিভ্রান্তি তৈরি হয়। লার্জ, মিড নাকি স্মল ক‌্যাপ, কোথায় কত টাকা অ‌্যালোকেশন করলে ভালো হয় সেই নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। তাদের জন্যই সব সমস্যার সমাধান এই ফ্লেক্সি ক‌্যাপ। কারণ এই ফ্লেক্সি ক‌্যাপে লগ্নির ক্ষেত্রে ফান্ড ম‌্যানেজারই লগ্নিকারীদের স্ট্র‌্যাটেজি মেনে পরিমাণ ঠিক করবেন। পাশাপাশি বিভিন্ন মার্কেট ক‌্যাম্পের মধ্যে যথাযথভাবে বন্টনেও সাহায্য করবেন ফান্ড ম‌্যানেজাররাই। সেক্ষেত্রে লোকসানের থেকে লাভের আশাই সব থেকে বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বরাবরই নতুন প্রজন্মের লগ্নিকারীদের ফ্লেক্সি ক‌্যাপ ফান্ড বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ একটি পোর্টফোলিওর মধ্যেই একসঙ্গে বিভিন্ন সেক্টরের ছোঁয়া কয়েছে। ভালো ফান্ড ম্যানেজারদের সাহায্যে বড় রিটার্ন পেতেও দেরী হবে না লগ্নিকারীদের। ডাইভারসিফিকেশনের যে কোনও বিকল্প নেই সে কথা বিশেষজ্ঞরা প্রায়ই বলে থাকেন। সেক্ষেত্রে এই বিষয়টি প্রমাণের একমাত্র মাধ্যম এই ফ্লেক্সিক‌্যাপই হতে পারে বলে দাবি বিশেষজ্ঞমহলের।