• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

ইডির দায়ের করা মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন পার্থর

শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে নোটিস জারি করে দাবি করা হয়েছে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জামিনের আবেদন দ্রুততার সঙ্গে শুনতে হবে নিম্ন আদালতকে। 

তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। ইতিমধ্যেই তিনি কলকাতা হাইকোর্টের (CALCUTTA HIGH COURT)  দ্বারস্থ হয়েছিলেন জামিনের (BAIL) জন্য। কিন্তু আবেদন করেও লাভ হইনি তেমন একটা। তাই এবার জামিনের আবেদন নিয়ে তিনি দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে( SUPREME COURT)। আর আবেদনের ভিত্তিতে এবার শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে নিম্ন আদালতে (LOWER COURT) দেওয়া হল গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ। শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে নোটিস জারি করে দাবি করা হয়েছে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জামিনের আবেদন দ্রুততার সঙ্গে শুনতে হবে নিম্ন আদালতকে। 

কিন্তু কবে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যা আবেদন করেছিলেন শীর্ষ আদালতে জামিনের জন্য?

গত ১৩ সেপ্টেম্বর  নিজের জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি সুপ্রিম কোর্টে (SUPREME COURT)। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁর আইনজীবীর দাবি, পার্থর বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ রয়েছে তাতে সর্বোচ্চ ৭ বছর সাজা হতে পারে। কিন্তু তেমন কোন অভিযোগ তার বিরুধে এখনও প্রমাণ হয়নি এবং প্রমাণ না হওয়া সত্ত্বেও তিনি ২ বছর জেল হেফাজতে রয়েছেন। তাই তাঁকে এবার দেওয়া হোক দ্রুত জামিন । পার্থর আইনজিবির এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূইঞা-র ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, নিম্ন আদালতকে নিয়মিতভাবে শুনতে হবে পার্থর মামলা। জানা যাচ্ছে, পুজোর পর প্রথম কাজের দিন মামলার শুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ দিন পর।

 যদিও সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে বারবার দাবি করে আসা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রভাবশালী ব্যক্তি। এমনকি তিনি জামিন পেলে মামলার তদন্তও হতে পারে বিঘ্নিত। সাক্ষীদের প্রভাবিত করে প্রমাণ নষ্টও করতে পারেন। কিন্তু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবীর স্পষ্ট দাবি, তিনি এখন মন্ত্রী নন। কোনও রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতাও তাঁর পাশে নেই। তাই তাঁকে আর ‘প্রভাবশালী’ বলা যায় না। 

একদিকে যখন জামিনের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্ত হয়েছেন পার্থ অন্যদিকে আরও বিপাকে পড়লেন তিনি। জানা যাচ্ছে, আবারও গ্রেফতার হতে পারেন তিনি। কিন্তু কেন? কারণ এবার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিবিআই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে গ্রেফতার করে আবারও নিতে চান নিজেদের হেফাজতে। সোমবার সিবিআইয়ের (CBI) পক্ষ থেকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে করা হয়েছে এই আবেদন। পাশাপাশি সিবিআই পার্থ চট্টোপাধ্যাইয়ের ঘনিষ্ঠ এবং অপর অভিযুক্ত অয়ন শীলকে তদন্তে হেফাজতে নিতে চায়। 

আদালত সূত্রে খবর, মঞ্জুর করা হয়েছে এই আবেদন। সূত্র মারফত খবর, আজই ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হবে দুজনকে। আর তারপরে দুজনকেই নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, পুজোর আগেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতেই তাদের নিজেদের হেফাজতে পেতে চায় সিবিআই।