• facebook
  • twitter
Monday, 30 September, 2024

বনধ পালন চা শ্রমিকদের, প্রভাব পড়ল না পাহাড়ে

কার্শিয়াং শহরে বনধ সমর্থকরা পর্যটকদের গাড়ি থামানোর চেষ্টা করলে পুলিশ দ্রুত সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে

চা শ্রমিকদের আটটি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ সোমবার সকাল থেকে পাহাড়ে ১২ ঘণ্টার বনধের আহ্বান জানিয়েছে ২০ শতাংশ বোনাসের দাবি জানিয়ে। এই বনধের সমর্থনে চা শ্রমিকরা রাস্তায় নেমেছেন। তবে, সোমবার দুপুর পর্যন্ত দার্জিলিং শহরে বনধের খুব একটা প্রভাব দেখা যায়নি। ব্যবসায়ীরা তাঁদের দোকান খোলাই রেখেছেন। বনধ সমর্থকরা জোর করে দোকান বন্ধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের বাধা দেয় এবং তাঁদের আটক করে নিয়ে যায়। কার্শিয়াং শহরে বনধ সমর্থকরা পর্যটকদের গাড়ি থামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু পুলিশ দ্রুত সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কালিম্পং জেলার পরিস্থিতিও কিছুটা একই রকম; সেখানেও বনধের বিশেষ কোনও প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি।

সমতলের রোহিনী টোল গেটের সামনে চা শ্রমিকরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বোনাসের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। পথ অবরোধের ফলে বেশ কিছু গাড়ি রাস্তায় আটকে পড়ে। কার্শিয়াঙে বনধ সমর্থকরা সকালেই পথ অবরোধের চেষ্টা করেন এবং চলমান গাড়িগুলি থামিয়ে চালকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। যাত্রীদের গাড়ি থেকে নামতেও বাধ্য করা হয়। পুলিশ এসে অবরোধকারীদের সরাতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে।

চা শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি, রবিবার তাঁরা চা বাগানের মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন, তবে বৈঠক থেকে কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি। শ্রমিকরা মালিক পক্ষকে ২০ শতাংশ বোনাস দেওয়ার অনুরোধ করেন, কিন্তু তা মেনে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। মালিক পক্ষ পরে জানায়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে শ্রমিকরা এই আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হওয়ায় আটটি সংগঠন মিলে রবিবার ১২ ঘণ্টার বনধের সিদ্ধান্ত নেয়। দাবি পূরণ না হলে, তাঁরা মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতিরও হুমকি দিয়েছেন।

জিটিএ-র ক্ষমতাসীন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (বিজিপিএম)ও শ্রমিকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। যদিও বন্ধের বিষয়ে বিজিপিএম দলগত কোনও অবস্থান স্পষ্ট করেনি, দলের নেতা শক্তিপ্রসাদ শর্মা জানিয়েছেন যে, তাঁরা শ্রমিকদের পাশেই রয়েছেন। কালিম্পং জেলায় চা বাগানের সংখ্যা কম হওয়ায় সেখানে বনধের প্রভাব তেমন পড়েনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি কালিম্পঙে বনধের প্রভাবহীনতার অন্যতম কারণ। তবে দার্জিলিং জেলার পাহাড়ি এলাকায় এই বনধের প্রভাব কতটা বিস্তৃত হবে, তা নিয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলির নজর রয়েছে। শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তাঁরা গাড়ি চালকদের অনুরোধ করবেন গাড়ি না চালানোর জন্য।