১১ বছর আগে ঝাড়গ্রামের জামবনিতে গৃহবধূকে খুনের ঘটনায় স্বামী বুবলু দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রাম আদালত। তাঁদের ২ সন্তান বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি দোষীর ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
২০১৩ সালে ঝাড়গ্রামের ডুলুং নদী থেকে রেখা দাস নামে এক তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতার দাদা অভিযোগ করেন, দাম্পত্য কলহের জেরে রেখাকে গলা টিপে খুনে করে তাঁর স্বামী। এই নিয়ে ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
প্রায় ১১ বছর ধরে চলে বিচারপ্রক্রিয়া। অভিযুক্তের দুই নাবালক ছেলে তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেয়। পাশাপাশি আরও কয়েকজনের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ঝাড়গ্রাম আদালত। শুক্রবার সাজা ঘোষণার সময় তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়।
এই মামলা প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী সত্যজিৎ সিংহ বলেন, ‘২০১৩ সালের ওই মামলার তদন্ত নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। অনেক সাক্ষী-ই পরে মুখ ফেরান। তবে তদন্তকারীদের চেষ্টা এবং দুই নাবালক সন্তানের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এই মামলায় আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত।’