• facebook
  • twitter
Friday, 27 September, 2024

ওপার বাংলায় শারদোৎসবের আগমনীতেই বিষাদের ছায়া, বোধনের আগেই বিসর্জনের অশনি সংকেত!

ধর্মীয় ভাবে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের নির্যাতনের আধারে ছকবন্দি চেতনায় তাকে মূল্যায়ন করার মধ্যে মূল সংকটকেই আড়াল করার প্রবণতা সক্রিয় হয়ে ওঠে। সেক্ষেত্রে ওপার বাংলার হিন্দুদের বর্তমান অস্তিত্ব সংকটের আবহে শারদোৎসবের আনন্দ অচিরেই বিসর্জনের আতঙ্কে মিলিয়ে যায়। দুর্ভাগ্য, আমরা সব জেনেও না জানার ভান করি।

সারা পৃথিবী জুড়ে যখন শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজনে চারিদিকে আগমনীর আনন্দের ঐকতান ভেসে আসে,তখন ওপার বাংলায় তার বিসর্জনের চাপা আতঙ্ক জেগে ওঠে। সেখানে প্রতিমা ভেঙে দিয়ে পূজায় বিঘ্ন করা বা উৎসবকে ভণ্ডুল করার নৈমিত্তিক ব্যাপার তো ছিল, ২০২২-এ এসে দেবী দুর্গার বোধনেই বিসর্জনের ছবি সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তার জের কাটতে না কাটতেই ২০২৪-এর গোড়ায় স্বচ্ছ ও নৈতিকতার অভাবে অবাধে নির্বাচন না হওয়ার অভিযোগে সংসদীয় নির্বাচনোত্তর পরিসরে অশান্ত দেশের আবহের মধ্যেই আকস্মিক ঘূর্ণাবর্তের মতো ২০২৪-এর জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল দেশে সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের অস্তিত্ব সংকট ক্রমশ প্রকট হয়ে ওঠে। সেখানে চাকরিতে কোটা বিরোধিতার আন্দোলনের মিছিল থেকেই হিন্দুদের বিতাড়নের শ্লোগান মুখরিত হয়। সেই কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকেই ৫ আগস্টে সে দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটায় সংখ্যালঘুদের মনে সে দেশের ধর্মীয় উদারতা যাও-বা জ্বলে ছিল,তাও নিভে যায়। ইতিমধ্যে সে দেশে শারদীয় পূজা করা যাবে না বলে মৌলবাদীদের মিছিলের ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা লাভের নামে সংখ্যালঘু হিন্দুরা দ্বিতীয় বার পরাধীনতার শিকার হয়ে ওঠে। এমনিতে ইতিপূর্বে সাতচল্লিশের দেশভাগের শিকার থেকে একাত্তরের বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভে হিন্দুদের স্বদেশে পরবাসী হওয়ার কথা ছিন্নমূল বাঙালি হিন্দুদের ঘরে ঘরে আত্মগোপন করে ছিল। ২০২৪-এ আগস্টে এসে সেই গোপনতার আড়াল আর রইল না। শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে পুনরায় স্বাধীনতাপ্রাপ্তির নামে প্রতিশোধের বিকারে তুমুল তাণ্ডব থেকে নতুন দেশ গড়ে তোলার নামে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ,হত্যালীলা প্রভৃতির ধ্বংসলীলার ভয়ঙ্কর প্রতাপে মেতে ওঠা সংখ্যাগরিষ্ঠের একাধিপত্য ও বিধ্বংসী আক্রমণে বিধ্বস্ত হিন্দুদের সে দেশে টিকে থাকাই দায় হয়ে ওঠে। যেখানে প্রাণে বাঁচাই দায়,সেখানে মান রাখার চিন্তা না আসাই দস্তুর। ধর্মীয় উগ্র বিদ্বেষে যে হিন্দুদের পূজা-পার্বণকে নস্যাৎ করাই লক্ষ্য হয়ে ওঠে ! সেখান হিন্দুদের মন্দির বা মণ্ডপকে মুসলিমদের পাহারা দেওয়ার মধ্যে আপাতভাবে উদারতার কথা মনে এলেও আদতে তা হিন্দুদের অসহায়তা থেকে নিরাপত্তার অভাবকেই প্রকট করে তোলে। সেক্ষেত্রে হিন্দুদের একদিকে প্রাণের ঝুঁকি,অন্যদিকে মানের সংকট। এজন্য শারদোৎসবের আবহেও তার আগমনী নয়,বিসর্জনের আতঙ্ক জেগে ওঠে।

বাঙালি বহু সংগ্রামের মধ্যে স্বাধীন দেশ পেয়েছে ঠিকই,আবার সে দেশেই বাঙালির বিচ্ছিন্নতাবোধ প্রকট হয়ে উঠেছে। অবশ্য এর মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। স্বার্থেই মানুষ সংকীর্ণ নয়, আত্মসচেতন মনে অধিকার জেগে ওঠে। সভ্যতাগর্বী আধুনিকতার বোধ যত বেড়েছে,তত শ্রেষ্ঠত্ববোধে মানুষে মানুষে বিচ্ছিন্নতাবোধ শ্রীবৃদ্ধি লাভ করেছে,ততই আত্মসচেতনতার উগ্র আত্মকেন্দ্রিকতায় স্বার্থপর দৈত্যের আবির্ভাব দেখা দিয়েছে। এজন্য সারা পৃথিবী জুড়ে বিশ্বায়নে ভুবনগ্রামের হাতছানির মধ্যেই আঞ্চলিকতাবোধ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। যে আধুনিক চেতনা যুক্তি ও বিজ্ঞানের মাধ্যমে অগ্রসর হয়েছে,সেই পরিসরেই ধর্মীয় আধিপত্যের বিস্তার আরও প্রকট মনে হয়। একদিকে মননের আলোর বিস্তার,অন্যদিকে অস্তিত্বের সোপানে অধিকার অর্জনে অন্ধত্বের প্রকট হাতছানি। বিশ্বময় সাম্য-মৈত্রী ও স্বাধীনতার আধারে সম্প্রীতির বার্তার উগ্রতায় তার বৈষম্যবোধ আরও প্রকট হয়ে ওঠে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আহ্বানের আড়ালে জাতিদাঙ্গা, ধর্মীয় সন্ত্রাস ও উগ্র দেশাত্মবোধ জেগে থাকে। সেখানে ভারতের মতো বৃহৎ দেশে হিন্দুমুসলমানের মধ্যে বৈরি মনোভাব যে দেশের প্রধান সমস্যা,সেকথা স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। সেই সমস্যা দেশভাগেও শেষ হয়নি,স্বাধীন বাংলাদেশেও জেগে আছে। সেক্ষেত্রে পুজোর প্রাক্ পরিসরে সে দেশের তীব্র সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার ফলে যেভাবে সংখ্যালঘুমানুষের মধ্যে সহিংস আক্রমণ নেমে এসেছে,তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই,বরং তা নিয়ে নতুন করে ভাবনার অবকাশ তৈরি হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথের মতে মুসলিমরা ধর্মে গোঁড়া,হিন্দুরা আচারে। সেখানে ধর্মীয় পরিচয়ে মুসলিমদের একাধিপত্য যেভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে,হিন্দুদের আচারসর্বস্বতায় তা না হওয়াই দস্তুর। উল্টে হিন্দুদের বর্ণবাদী সমাজে উপেক্ষা আর অবজ্ঞাও হিন্দুদের প্রতি মুসলিমদের আরও ধর্মবিদ্বেষী করে তোলে। শুধু তাই নয়,উনিশ শতকে পাশ্চাত্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি আলোয় হিন্দুদের জয়যাত্রা যতই অগ্রসর হয়েছে,পিছিয়ে পড়া মুসলিম সমাজের মানসিক দূরত্ব ততই বেড়ে চলেছে। প্রতিযোগিতায় ব্যর্থতা মেনে নেওয়ার সৎসাহস সবসময় সক্রিয় হয় না। এজন্য তার কারণের প্রতি দৃষ্টিনিবদ্ধ না হলেও বিজয়ীর প্রতিই বিদ্বেষ জেগে ওঠে। নিজেদের অসফলতার জন্য সেক্ষেত্রে হিন্দুদের প্রতি বৈরী মনোভাবে মুসলিমদের বৈষম্যবোধ আরও তীব্র মনে হয়। শুধু তাই নয়, সময় যত এগিয়েছে, সাম্প্রদায়িক বিচ্ছিন্নতাবোধ ততই আক্রমণাত্মক হয়েছে। সেখানে আধুনিক শিক্ষার আলো সামনের দিকে এগিয়ে না দিয়ে পেছনের দিকে অস্তিত্বের মূলে সক্রিয় করেছে। আর তার লক্ষ্যেই হিন্দুদের প্রতি শত্রু মনোভাব সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে শিক্ষায় আত্মসচেতনতা যত বেড়েছে,ততই তার আক্রমণ যেমন বহুমুখী হয়েছে,তেমনই কূটকৌশলে তা তীব্রতা লাভ করেছে। সেদিক থেকে হিন্দুদের প্রতি সাম্প্রদায়িক আক্রমণ যে সুপরিকল্পিত,তা সহজেই অনুমেয়।

বিশ্বাস যখন টলে যায়,সন্দেহ তখন তীব্র হয়ে ওঠে। বাঙালি পরিচয়ের চেয়ে যখন তার ধর্মীয় অস্তিত্ব প্রাধান্য লাভ করতে শুরু করে,তখনই বাঙালির আত্মঘাতী সত্তা প্রকট হয়ে পড়ে। সেখানে অবশ্য রাজনীতির সংযোগও ধর্মীয় মেরুকরণের জন্য দায়ী। ক্ষমতা,কর্তৃত্ব ও অধিকারের ত্রিবেণী সঙ্গমে ধর্ম ও রাজনীতি একেঅপরের পরিপূরক। সেখানে রাজনীতির ক্ষমতায়নে ধর্মকে হাতিয়ার বা ধর্ম প্রতিষ্ঠায় রাজনীতির আশ্রয় সবই সচল। শুধু তাই নয়, আধুনিক বিশ্বে রাজনীতি সচেতনতাতেও ধর্মীয় যোগ আরও নিবিড়। সেখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেয়ে তার বিচ্ছিন্ন একক উগ্র অস্তিত্ব অনেক বেশি প্রভাবশালী। সেখানে ধর্মীয় সম্প্রদায় ভিত্তিক রাজনীতিও হিন্দুমুসলমানের বিভেদকে আরও জিইয়ে রাখতে উৎসাহী। অন্যদিকে বাঙালিদের মধ্যে যে ধর্মীয় পরিচয় ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠেছিল,তা স্বাধীনতা লাভের পূর্বেই একাধিকবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাতেই প্রতীয়মান। সেখানে ধর্মীয় শান্তি প্রতিষ্ঠায় যে দ্বিখণ্ডিত স্বাধীনতার বন্দোবস্ত হয়েছিল, তাও অসফল হয়ে পড়ে। পূর্ব পাকিস্তানের বিধর্মীদের ভয়ে বাঙালি হিন্দুদের স্বদেশের ভিটেমাটি ছেড়ে এদেশে আসার মধ্যে শুধু বাঁচার লক্ষ্যই ছিল না, নিজের ধর্ম রক্ষা করাও জরুরি হয়ে উঠেছিল। আবার স্বাধীনতার আরও চব্বিশ বছর পর বহু রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি যখন একটি স্বাধীন দেশ পেল,সে দেশেও বাঙালি হিন্দুর ঠাঁই না মেলাটা স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। সেক্ষেত্রে সে দেশে হিন্দুদের ধর্মীয় অস্তিত্বই শুধু মৌলবাদীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়,তাদের ফেলে যাওয়া ধনসম্পত্তি,জমিজমা,বাড়িঘর প্রভৃতি হাতানোও তার সঙ্গে যুক্ত। এছাড়াও আছে কায়েমি স্বার্থ চরিতার্থ করা। সেক্ষেত্রে মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের কাছে দেশভাগ আশীর্বাদ হয়ে ওঠে।

সে দেশে হিন্দুদের অবর্তমানে মুসলিমদের মধ্যে চাকরি-ব্যবসা,শিক্ষা-সংস্কৃতি প্রভৃতির দ্রুত প্রসার ঘটে। সদ্য প্রয়াত গোলাম মুরশিদ তাঁর ‘হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি’ বই-এ জানিয়েছে : ‘মোট কথা, দেশবিভাগের ফলে সত্যি সত্যি কেউ যদি লাভবান হয়ে থাকেন, তা হলে তাঁরা হলেন বাঙালি মুসলমান। এক কথায় বললে, উচ্চবর্ণের হিন্দুরা বেকায়দায় পড়লেন, বিশেষ করে বেকায়দায় পড়লেন পূর্ববাংলার শিক্ষিত এবং উচ্চবর্ণের হিন্দুরা। আর নিম্নবর্ণের হিন্দুদের অবস্থা যেমন ছিলো,তেমনই থেকে গেলো। কিন্তু রাজনীতির কারণে মুসলমানরা নিজেদের দেখতে পেলেন একটা দারুণ সুবিধাজনক অবস্থানে।’ অন্যদিকে একাত্তরে সেই ‘নিম্নবর্ণের হিন্দুদের’ অবস্থা যে ভয়ংকর হয়ে ওঠে,তা এদেশে শরণার্থীদের ভিড়েই প্রতীয়মান। অবশ্য সকলেই হিন্দুদের দেশত্যাগকে ভালো চোখে দেখেননি। আহমদ শরীফ থেকে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, হাসান আজিজুল হক প্রমুখ দেশভাগ মেনে নিতে পারেননি,বাঙালি হিন্দুদের অবর্তমানে সে দেশের আত্মিক সংকটের কথা তাঁরা নানাভাবে ব্যক্ত করেছেন। আসলে বাঙালি হিন্দুদের প্রতি ধর্মীয় বিদ্বেষে উৎখাত করার সদিচ্ছা সে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদেরও নেই। সেখানে সেই বিদ্বেষকে পুঁজি করে যাদের রাজনীতি থেকে ধর্মীয় অস্তিত্বের বিস্তার,তারাই তা কূট কৌশলে সংগঠিত করে। এতে বাঙালির ঐক্য বিনষ্ট হয়,ধর্মীয় সংকীর্ণতা ছড়িয়ে পড়ে, মানবিকতা নিঃস্ব হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, সেখানে মুক্তমনা মানুষের প্রতিবাদও সন্দেহের মনে হয়। ধর্মীয় গোঁড়াদের ভয়ে সব ধর্মের মানুষই প্রতিবাদে সামিল হতে ভয় পায়। যারা করে,তাদের বক্তব্য হয় সন্দেহের চোখে দেখা হয়,নয় মূল্যহীন হয়ে পড়ে। সেখানে পূর্বে এদেশে সংখ্যালঘুদের হয়ে প্রতিবাদে সামিল না হওয়ায় বর্তমানে সে দেশের প্রতিবাদের অধিকার নেই বলে বিরোধী কণ্ঠ জোরালো হয়। বক্তব্য খণ্ডনের চেয়ে ব্যক্তিকেই খণ্ডিত করার প্রয়াসে প্রতিবাদও সোচ্চার হতে পারে না। পাল্টা তা নিয়ে মৌলবাদী মানসিকতায় হিন্দু বা মুসলিম বিদ্বেষ বেরিয়ে আসে,ছড়িয়ে পড়ে। সেখানেও বোধনে বিসর্জন, ভাবা যায়!

একথা বিশেষ ভাবে স্মরণীয়, ধর্মভেদে দেশভাগে স্বস্তি বয়ে আনেনি। দেশভাগ করতে গিয়ে মানুষভাগই বড় হয়ে উঠেছে। যেখানে মানুষে মানুষে বিভেদচেতনাই প্রধান্য লাভ করে,সেখানে মানবতা নিঃস্ব হয়ে পড়ে, ধর্মান্ধতার বীভৎস রূপ দেখা দেয়। সেদিক থেকে সংখ্যালঘুর ওপরে সংখ্যাগুরুর নির্যাতনের তত্ত্বকে অতিসরলীকরণ মনে হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি ধর্মীয় অত্যাচারই নয়,মানবিক অস্তিত্বকে অস্বীকারের প্রবণতা প্রবহমান। মানুষের অধিকারই যেখানে বিপন্ন, সেখানে ধর্মীয় ভাবে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের নির্যাতনের আধারে ছকবন্দি চেতনায় তাকে মূল্যায়ন করার মধ্যে মূল সংকটকেই আড়াল করার প্রবণতা সক্রিয় হয়ে ওঠে। সেক্ষেত্রে ওপার বাংলার হিন্দুদের বর্তমান অস্তিত্ব সংকটের আবহে শারদোৎসবের আনন্দ অচিরেই বিসর্জনের আতঙ্কে মিলিয়ে যায়। দুর্ভাগ্য, আমরা সব জেনেও না জানার ভান করি।