• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

এএমআর-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বব্যাপী জরুরি সহযোগিতার ডাক ভারতের

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল আরও বলেন,'দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের ব্যাপক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা সম্ভব হয়েছে। "ক্লিন ইন্ডিয়া মিশন'' বা দূষণমুক্ত ভারত কর্মসূচির মাধ্যমে স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যবিধি ও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা উন্নত করা সম্ভব হয়েছে।'

এএমআর-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বিশ্বব্যাপী একটি সহযোগিতার ডাক দিল ভারত। এই এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) আগামী দিনে গোটা বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একটি ভয়ঙ্কর ফেলতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল বলেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে এএমআর নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এএমআর আধুনিক ওষুধের ক্ষেত্রে কয়েক দশকের অগ্রগতিকে হ্রাস করতে চলেছে।’

অনুপ্রিয়া এএমআর সহ স্বাস্থ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকের আহবান জানিয়েছেন। যাতে মহামারীর মতো কঠিন পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করার মতো প্রস্তুতি সেরে ফেলা যায়। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করে গড়ে তোলা ও সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে রূপায়িত করা যায়। যাতে এএমআর-এর মতো হুমকির হাত থেকে বাঁচতে নজরদারির পরিবর্তে প্রতিরোধ ও প্রশমনের জরুরি কৌশলগুলি অবলম্বন করতে পারি।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এএমআর-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভারতের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা তুলে ধরেছেন। তিনি দাবি করেন, ‘২০১৭ সালের এপ্রিলে ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান (এনএপি এএমআর) চালু হওয়ার পর থেকে এএমআর-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।’ তিনি মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে পর্যবেক্ষণের অগ্রগতির প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন। তিনি দাবি করেন, প্রতিরোধের উন্নতির মাধ্যমে হাসপাতালে সংক্রমণ হ্রাস পেয়েছে। সেই সঙ্গে মানুষ ও পশুর স্বাস্থ্যের জন্য দায়ী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ এবং প্রচার করা সম্ভব হয়েছে।’

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল আরও বলেন,’দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের ব্যাপক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা সম্ভব হয়েছে। “ক্লিন ইন্ডিয়া মিশন” বা দূষণমুক্ত ভারত কর্মসূচির মাধ্যমে স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যবিধি ও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা উন্নত করা সম্ভব হয়েছে। দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবাগত সংক্রমণের ক্ষেত্রে একটি পদ্ধতিগত ও মানসম্মত নজরদারি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।’