• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় ফাঁসির সাজা ঘোষণা আলিপুর আদালতে

এই ঘটনায় ৪৫ জন সাক্ষী দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত বছরের মার্চ মাসে শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হয় প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে। হাত, পা, মুখ বাঁধা অবস্থায় তিলজলার ওই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে বিশেষ পকসো এজলাসে  এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে নির্মমভাবে খুন করার অপরাধে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করলো। গত বুধবার তিলজলা থানা এলাকার এই মামলায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আদালত সুত্রে প্রকাশ,  ২০২৩ সালের মার্চ মাসে এক ৬ বছরের নাবালিকার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয় কলকাতার তিলজলা থানা এলাকায়।

অভিযোগ ওঠে, যৌন নির্যাতন করে খুন করা হয় ওই শিশুকে। শুধু তাই নয়, মৃত্যু নিশ্চিত করতে শিশুর মাথায় হাতুড়ি মারা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় এবার ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আলিপুর আদালত। মৃত শিশুর প্রতিবেশী অলোক কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। গত বুধবার আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে। বৃহস্পতিবার তাঁর সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘটনায় ৪৫ জন সাক্ষী দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতে অতিরিক্ত জেলা বিচারপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের এজলাসে এই মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞা দেওয়া হয়।

বিচারপতি অ্যাডাম স্মিথের বিখ্যাত উক্তি ‘অপরাধীদের ক্ষমা করা হল নির্দোষীদের প্রতি নিষ্ঠুরতার নামান্তর’ উদ্ধৃত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ঘোষণা করেন। তাঁর মতে, যেভাবে ৬ বছরের ওই বাচ্চা মেয়েটির উপর যৌন নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়, তা  ‘বিরল থেকে বিরলতর।’

২০২৩ এর ২৬ মার্চ সকাল থেকে বাচ্চা মেয়েটিকে তার তিলজলার বাড়ি থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বাড়ির লোকজন তিলজলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। কলকাতা পুলিশ চিরুনি তল্লাশি চালাতে থাকে।  সেদিনই সন্ধেবেলা মেয়েটির মৃতদেহ তাদের প্রতিবেশী অলোক কুমার সাউয়ের বাড়ির রান্নাঘরে একটা বস্তার মধ্যে থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

তদন্তে জানা যায়, মেয়েটিকে সে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে অপহরণ করে। তারপর তাকে ধর্ষণ করে এবং নৃশংসভাবে হত্যা করে।
অলোক কুমার  তিলজলা থানা এলাকার শ্রীধর রায় রোডেরই বাসিন্দা। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ নাগরিকেরা প্রচুর গাড়ি জ্বালিয়ে দেন, থানা ভাঙচুর করেন।

কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা তদন্তের দায়িত্ব নেয়। তদন্তকারী অফিসারের দায়ভার নেন সাব-ইনস্পেক্টর মধুসূদন সরকার। দ্রুত তদন্ত সেরে ১৬ জুন, ২০২৩ তারিখে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। চার্জশিট জমা দেওয়ার মাত্র ১৫ মাসের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।