• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

প্রতিশ্রুতি পালনে অনীহা রাজ্যের, ৭ দফা দাবিতে মুখ্যসচিবকে ইমেল জুনিয়র ডাক্তারদের

সরকারি হাসপাতালে থ্রেট কালচার বা হুমকির সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য কেন্দ্রীয় স্তরে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করতে হবে

মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলি পালন করা হচ্ছে না, এমনটাই অভিযোগ জুনিয়র ডাক্তারদের। এই সংক্রান্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ইমেল পাঠাল জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবির কথা জানানো হয়েছে।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এর পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু কাজের পরিবেশের দাবিও ছিল জুনিয়র ডাক্তারদের।

জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে যে সাতটি দাবির কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা হল- সরকারি হাসপাতালে থ্রেট কালচার বা হুমকির সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য কেন্দ্রীয় স্তরে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করতে হবে।

প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারির স্নাতক পড়ুয়া এবং আবাসিক ডাক্তারদের নিয়ে অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান কমিটি গঠন তৈরি করা হোক।

মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ছাত্র প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার জন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন করা হোক। সেই মর্মে দ্রুত কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকার জন্য মেডিক্যাল কলেজগুলিকে নির্দেশ দেওয়া।

ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের যে সকল সদস্যের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্যকে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করতে হবে এবং এই কমিটি গঠনের কাজ আগামী সাতটি কর্মদিবসের মধ্যে করতে হবে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, নার্সিং এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করতে হবে।

কলেজ কাউন্সিল, অভ্যন্তরীণ কমিটি, রোগী কল্যাণ সমিতি, র‌্যাগিং প্রতিরোধ কমিটিকে পরবর্তী সাতটি কর্মদিবসের মধ্যে সক্রিয় করে তুলতে হবে। একই সঙ্গে এই কমিটিগুলিতে জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, নার্স এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিনিধিত্ব রাখতে হবে।

‘ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্ভিস রুল’ অনুযায়ী চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য স্বচ্ছ এবং যথাযথ বদলি নীতি কার্যকর করতে হবে।

উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যার কারণে যে প্রতিবাদ আন্দোলন বুকের মধ্যে ‘আগুন’ জ্বালিয়ে দিয়েছিল, সেই আগুনকেই পুজোর ‘আলো’ করে তুলতে চান জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনকে আরও বৃহৎ রূপ দিতে এটি তাঁদের আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপ। তাঁদের মূল দাবি— ‘নির্যাতিতার বিচার’– সহ আরও কিছু স্বাস্থ্যব্যবস্থা সংক্রান্ত দাবিতে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে পথে নামছেন তাঁরা। এই দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম বাংলার স্বাস্থ্যব্যবস্থা থেকে ‘থ্রেট কালচার’-র অবসান ঘটানো। আন্দোলনের নতুন ভাষা শিখিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দেখিয়েছেন কিভাবে শান্তিপূর্ণ পথে মাথা না নুইয়ে নিজের আন্দোলনকে সফল করে তোলা যায়।