• facebook
  • twitter
Thursday, 26 September, 2024

কোন উপায়ে গিল্ড-ফেডারেশনের সংঘাতে ইতি?

বুধবার বিকেলে বৈঠকে বসে ইম্পা এবং ফেডারেশন। উপস্থিত ছিলেন ইম্পার সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত এবং ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস।

কেশসজ্জা শিল্পীর আত্মহননের চেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের তুঙ্গে ডিরেক্টর্স গিল্ড-ফেডারেশন দ্বন্দ্ব। বকেয়া পারিশ্রমিক, কলাকুশলীদের জোর করে অতিরিক্ত সময় কাজ করানো সহ একাধিক সমস্যায় জেরবার টলিপাড়া। কীভাবে কাটবে সমস্যা? কীভাবে কাজের সুস্থ পরিবেশ ফিরে আসবে টলিউডে? আপাতত মাথাচাড়া দিচ্ছে সেই প্রশ্নই। এই আবহে বুধবার বিকেলে বৈঠকে বসে ইম্পা এবং ফেডারেশন। উপস্থিত ছিলেন ইম্পার সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত এবং ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস।
বৈঠকে মূলত গুরুত্ব পেয়েছে তিনটি বিষয়। যে সিনেমাগুলির বাজেট ৩০ লক্ষ টাকার কম, সেক্ষেত্রে কলাকুশলীর সংখ্যা এবং শুটিং সামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হবে। কারণ এর আগে ডিরেক্টর্স গিল্ডের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, ফেডারেশনের নিয়ম অনুযায়ী অনেক সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত কলাকুশলী নিতে হত। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সেই খাতে অতিরিক্ত টাকা খরচ হত প্রযোজকদের। এবার অতিরিক্ত খরচের সেই সমস্যা মিটল বললেই চলে।
বুধবারের বৈঠকে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দৈনিক কত ঘণ্টা শুটিং হবে, সেই সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কথা জানানো হয়। এ বিষয়ে ফেডারেশনের কাছে কুলাকুশলীদের ভূরি ভূরি অভিযোগ জমা পড়েছিল। অভিযোগ ছিল, তাঁদের কখনও একটানা ২৬ ঘণ্টা কখনও আবার তার বেশিও কাজ করানো হয়। পরবর্তীকালে শুটিংয়ের সময়সীমা বেঁধে দিলে কাজের সময় নিয়ন্ত্রিত হবে বলে আশাবাদী কলাকুশলীরা। বৈঠকে বকেয়া পারিশ্রমিক নিয়েও আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, শুটিং শুরুর আগে প্রযোজককে ইম্পার কাছে ৫ লক্ষ টাকা জমা রাখতে হবে। এর ফলে বকেয়া পারিশ্রমিকের সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে আশা করা যায়।
কিন্তু কেশসজ্জা শিল্পীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিরেক্টরস গিল্ড এবং ফেডারেশনের যে দ্বন্দ্ব তুঙ্গে উঠেছে তার শেষ কোথায়? নাকি এর কোনও বিকল্প পথ রয়েছে? তবে কি এবার নতুন কোনও সংগঠন তৈরির পথে? ফেডারেশনের সঙ্গে সংঘাতের কথা অস্বীকার করেনি ডিরেক্টরস গিল্ড। তাঁদের অভিযোগ অকারণ নিয়মের বোঝা এবং স্বাধীনতায় বারবার হস্তক্ষেপের জেরেই ফেডারেশনের প্রতি তাদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ। তাহলে উপায়? ডিরেক্টরস গিল্ড অবশ্য জানাচ্ছে, দুই সংগঠনের মধ্যে মতবিরোধ থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু কোনও সংগঠন ভেঙে নতুন সংগঠন তৈরির পক্ষে নয় তারা। তাঁদের দাবি, ফেডারেশনের কাছে সব সমস্যার কথা তুলে ধরা। একাধিক পরিচালকেরও একই মতামত।
ডিরেক্টর্স গিল্ড চায় আলোচনায় বসতে। কারণ ফেডারেশনের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগের তালিকা ক্রমশই লম্বা হচ্ছে। তাঁদের দাবি, কলাকুশলী এবং প্রযোজকজদের স্বার্থরক্ষার বিষয়ে সবার আগে ওয়াকিবহল হতে হবে ফেডারেশনকেই। তবেই মিলবে সুরাহা। কিন্তু ডিরেক্টরস গিল্ডের দাবিকে কি আদৌ মান্যতা দেবে ফেডারেশন? নাকি দু’পক্ষের সংঘাত আরও চরম হবে? উঠছে প্রশ্ন।