বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দুপুর ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নুরুল। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই এক্স হ্যান্ডেলে শোকজ্ঞাপন করেন মমতা।
এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, আমার সহকর্মী, আমাদের বসিরহাটের সাংসদ হাজি শেখ নুরুল ইসলামের ইন্তেকালের খবর শুনে আমি মর্মাহত। তিনি প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকায় একজন সমাজসেবক ছিলেন এবং পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের উন্নয়নে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। বসিরহাটের মানুষ ওঁর নেতৃত্বকে মিস করবেন। আমি তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
২০২৪ সালে তৃণমূলের টিকিটে দ্বিতীয়বারের জন্য বসিরহাটের সাংসদ হন নুরুল। হারান বিজেপি প্রার্থী তথা সন্দেশখালি আন্দোলনের মুখ রেখা পাত্রকে।
Sad to know of the demise of my valued colleague, our MP of Basirhat, Haji Sk. Nurul Islam.
He was a dedicated social worker in a remote Sundarban area, and he worked hard for the upliftment of poor people in a backward region. People of Basirhat will miss his leadership.
I…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) September 25, 2024
তৃণমূলের টিকিটে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার বিধায়কও ছিলেন তিনি। হাজি নুরুল ইসলাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হজ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৯৮ সালে তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তার আগে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন হাজি নুরুল ইসলাম।
২০২১ সালেও হাড়োয়া থেকে জয়ী হন হাজি নুরুল ইসলাম। এরপর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ফের বসিরহাট থেকে তাঁকে টিকিট দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি প্রার্থী করে সন্দেশখালির বাসিন্দা তথা প্রতিবাদী আন্দোলনের মুখ রেখা পাত্রকে। সিপিএমের টিকিটে বসিরহাটে লড়েন সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার।
তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বসিরহাট সব গোটা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে ইতিমধ্যে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন তৃণমূল কর্মী সমস্ত সহ বহু সাধারণ মানুষজন। স্ত্রী সহ চার পুত্র সন্তান তিনি রেখে গিয়েছেন।