সমস্ত হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় সিসি ক্যামেরা লাগানো বাধ্যতামূলক করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি ভাইরাল হয় খাবারে থুতু ফেলার ভিডিয়ো। খাবারে প্রস্রাব মেশানোর ঘটনাও উঠে আসে অন্য একটি ভিডিয়োয়। তারপরই সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১২ সেপ্টেম্বর। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলায় একটি খাবারের দোকানে এক কিশোরকে রুটি তৈরির সময় থুতু ফেলতে দেখা যায়, সেই দৃশ্য ধরা পড়ে ভিডিয়োয়। মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিয়ো। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই দোকানের মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনা ছাড়াও গত সপ্তাহে গাজিয়াবাদ জেলায় এক ফলের রস বিক্রেতাকে রসের সঙ্গে প্রস্রাব মিশিয়ে পরিবেশন করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এই দুই ঘটনা সামনে আসতেই রাজ্যের জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বেহাল দশার চিত্র ফুটে উঠছে। যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মঙ্গলবার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকেন। সেখান থেকেই নির্দেশ দেন সমস্ত খাবারের দোকানে মালিক এবং কর্মীদের নাম, ঠিকানা বাধ্যতামূলকভাবে দোকানের বোর্ডে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। এর সঙ্গে সমস্ত হোটেল ও রেস্তোরাঁয় সিসিটিভি বসাতে হবে। পাশাপাশি শেফ এবং ওয়েটারদের মাস্ক, গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, খাদ্য সামগ্রীতে মানুষের বর্জ্যের উপস্থিতি ঘৃণ্য এবং যারা এই ধরণের কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ধরণের ঘটনার জেরে রাজ্যের সমস্ত হোটেল, ধাবা, রেস্তোঁরাগুলির খাবার এবং পরিবেশ নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশকে। দ্রুত সিসিটিভি লাগানোর বিষয়টিও দেখতে হবে। পুরো বিষয়টি বাস্তবায়ন করে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে আধিকারিকদের।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ বিরোধীদের। লখনউয়ের এসপি বিধায়ক রবিদাস মেহরোত্রা জানিয়েছেন, ‘সিসিটিভি লাগিয়ে পরিচ্ছনতা বজায় রাখা যায় না। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল দলিত, অনগ্রসর এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেদের বিক্রি কমানো। তাই এই স্বৈরাচারী পদক্ষেপ নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।’