• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বাংলায় ‘থ্রেট কালচারের’ অন্যতম মুখ অনুব্রত, জেলমুক্তির পর কেষ্টকে কটাক্ষ বিরোধীদের

বাংলায় ''থ্রেট কালচারের'' অন্যতম মুখ হলেন অনুব্রত মন্ডল, কেষ্ট জামিন পাওয়ার পর এমনটাই মন্তব্য করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী

বাংলায় ”থ্রেট কালচারের” অন্যতম মুখ হলেন অনুব্রত মন্ডল, কেষ্ট জামিন পাওয়ার পর এমনটাই মন্তব্য করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। সোমবার প্রায় দুবছর পর দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত থেকে জামিন পান অনুব্রত মণ্ডল। সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির তিহার জেল থেকে ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনে মুক্তি পান গরুপাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। এর পর মঙ্গলবার সকালে বিমানে কাকভোরে দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছন তিনি। সঙ্গে ছিলেন মেয়ে সুকন্যা। বিমানবন্দর থেকে বিশাল কনভয় করে তাঁকে কলকাতা থেকে বোলপুর নিয়ে যায় পুলিশ।

এদিন প্রায় দুবছর পর বীরভূমে নিজ বাসভবনে ফিরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন তিনি। দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরে রীতিমতো চোখে জল চলে আসে তাঁর। অনুব্রতের জেলমুক্তিতে উচ্ছ্বসিত তাঁর অনুগামীরা। সকাল থেকেই ফুল মালা নিয়ে দেদার ভিড় তার বাড়ির সামনে। তবে বাড়ি ফেরা নিয়ে তৃণমূলের উচ্ছ্বাসকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। একযোগে তৃণমূলের উৎসাহকে দুর্নীতি ও ভীতির রাজনীতির উজ্জাপন বলে দাবি করল বাম ও বিজেপি। তবে তাতে তৃণমূল কর্মীদের উৎসাহে ভাটা পড়েনি। বোলপুরে নিচুপট্টির বাড়িতে অনুব্রতকে নিয়ে উৎসবে মেতেছেন তাঁরা।

এদিন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় তৃণমূলের থ্রেট কালচারের একজন প্রতিনিধি হলেন অনুব্রত মণ্ডল। এরাজ্যের থ্রেট কালচার স্পষ্ট হয়ে যায় অনুব্রতর চোখ, মুখ, কথাবার্তার ভাষায়।বীরভূমে কী ধরনের সন্ত্রাসের পরিবেশ অনুব্রত কায়েম করে রেখেছিলেন তা কারও অজানা নয়।’

অন্যদিকে, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বিচারপ্রক্রিয়ায় জামিন তো কেউ পেতেই পারেন। এর আগেও অনেকে জামিন পেয়েছেন। অনেকে জেলে আছেন। তবে ওনার সব সম্পত্তি চলে গিয়েছে। আমাদের দেশে বিচার শেষ হতে সময় লাগে। তাই অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। অনুব্রত জামিনে মুক্ত পেলেন মানেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো মিথ্যা হয়ে যায় না।’

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল থেকেই বোলপুরে অনুব্রতর নিচুপট্টির বাড়ির সামনে ভিড় করতে থাকেন অনুগামীরা। অনুব্রত সেখানে পৌঁছতেই স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। অনুব্রত আসা মাত্রই সকলে আনন্দে মেতে ওঠেন আবির খেলায়।