আরজি কর দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। একই সঙ্গে এই মামলায় ধৃত বাকি তিনজনেরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধৃতদের মোবাইল থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
সোমবার আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, সন্দীপ ঘোষ অত্যন্ত প্রভাবশালী লোক। তিনি জামিন পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার পাশাপাশি সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারেন। তাই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জেল হেফাজত দেওয়া হোক।
এরপর বিশেষ সিবিআই আদালত সন্দীপ ঘোষ, বিপ্লব সিংহ, সুমন হাজরা এবং সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষী আফসার আলি খানের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। আদালতে এই নির্দেশের ফলে আগামী ৭ অক্টোবর তারা জেল হেফাজতে থাকবেন।
আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের আরও দাবি, মোবাইল, ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক, মেমরি কার্ড-সহ অন্তত ১৮টি ডিজিটাল ডিভাইসের ‘ক্লোনিং’ করা হয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখছে সিবিআই। ওই যন্ত্রগুলিতে থাকা নথি থেকে তদন্তে সহায়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলেও মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে গত ১৬ অগস্ট রাজ্য সরকারের তরফে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়। পরের দিন উচ্চ আদালতের নির্দেশে রাজ্য পুলিশের পরিবর্তে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে। এব্যাপারে ইডিও মামলা দায়ের করেছে। এই মামলাতেই ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে এক ট্রেনি ডাক্তারের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই চিকিৎসককে। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্তভার পায় সিবিআই।