• facebook
  • twitter
Sunday, 22 September, 2024

কলকাতাতেই হবে ‘সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট’, মোদী ও বাইডেনের বৈঠকে গুরুত্ব পেল ‘জিএফ কলকাতা পাওয়ার সেন্টার’

জাতীয় নিরাপত্তা, নতুন প্রজন্মের টেলি যোগাযোগ এবং দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতেই অত্যাধুনিক সেন্সিং এবং উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার লক্ষ্যে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সেখানেই এই বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়।

‘গ্লোবাল ফাউন্ডারিজ়’ নামে নিউ ইয়র্কের একটি বহুজাতিক সংস্থা কলকাতায় গড়ে তুলবে সেমিকন্ডাকটর প্ল্যান্ট। কোয়াড সামিট বা চতুর্দেশীয় অক্ষের বৈঠকে গিয়েই মোদী ও বাইডেনের মধ্যে এবিষয়ে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। সেখানে আলোচনা হয়, দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে এই সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্টে ‘চিপ’ বা ‘মাইক্রো চিপ’ তৈরি করা হবে। এই কারখানার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘জিএফ কলকাতা পাওয়ার সেন্টার’। এবিষয়ে মোদী ও বাইডেন আলোচনায় সহমত প্রকাশ করেছেন।

এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, এই সেমিকন্ডাক্টর কারখানার থেকে তৈরি হওয়া ‘চিপ’ দূষণমুক্ত দেশ গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি ইন্টারনেট নির্ভর যন্ত্র ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রেও উন্নতি ঘটাবে। এই কারখানা তৈরির মূল উদ্দেশ্য হল ইনফ্রারেড, গ্যালিয়াম নাইট্রাইড এবং সিলিকন কার্বাইড সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করা। এর ফলে দুই দেশের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতিকে দীর্ঘক্ষণ সচল রাখতে আধুনিক প্রযুক্তির একটি মূল্যবান ফসল হল সেমিকন্ডাক্টর। যা জরুরি পরিস্থিতিতে বৈদ্যুতিন যন্ত্রকে তড়িৎবাহী করে তুলতে পারে। মোবাইল, ক্যামেরা, ল্যাপটপ, টিভি– এই ধরণের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিকে চালু রাখতে একধরণের ‘চিপ’ বা ‘মাইক্রো চিপ’ ব্যবহার করা হয়। এই চিপগুলি তৈরির একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান সেমিকন্ডাক্টর বা অর্ধপরিবাহী। আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই সেমিকন্ডাক্টরের গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার এই প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের জন্য কলকাতাতেই হবে এই প্ল্যান্ট। যেখানে এই ধরণের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ‘চিপ’ বা ‘মাইক্রোচিপ’ তৈরি হবে। যার বরাত দেওয়া হয়েছে ‘গ্লোবাল ফাউন্ডারিজ়’ নামে একটি আমেরিকান সংস্থাকে। এই সংস্থা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট নিয়ে কাজ করে থাকে।

ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে মোদী ও বাইডেনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিশেষভাবে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা, নতুন প্রজন্মের টেলি যোগাযোগ এবং দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতেই অত্যাধুনিক সেন্সিং এবং উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার লক্ষ্যে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সেখানেই এই বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়।