• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

আবার বাঙালির বিশ্বজয়, অর্থনীতিতে নােবেল অভিজিৎ দম্পতির

ফের বাঙালির নােবেল জয়। অর্থনীতিতে নােবেল পেলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী এস্থার ডাফলো।

অভিজিং বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo: Scott Eisen/Getty Images/AFP)

ফের বাঙালির নােবেল জয়। অর্থনীতিতে নােবেল পেলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থনীতির ক্ষেত্রে অমর্ত্য সেনের পর দ্বিতীয় বাঙলি হিসেবে এই সম্মানে ভূষিত হলেন অভিজিং বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুধু নন, একই সঙ্গে নােবেল সম্মান পেলেন তাঁর স্ত্রী এস্থার ডাফলোও। তারা দুজন সহ আরও একজন পুরস্কৃত হলেন। তিনি অর্থনীতিবিদ মাইকেল ক্রেমার। 

নােবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, ওঁদের গবেষণা গােটা বিশ্বকে দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়ার নতুন হাতিয়ারের সন্ধান দিয়েছে। মাত্র দুই দশকে তাদের গবেষণা পদ্ধতি উন্নয়ন অর্থনীতির রূপরেখাকে বদলে দিয়েছে। এখন অর্থনীতির গবেষণায় এটি অন্যতম পাথেয় মডেল। দারিদ্র দূরীকরণ নিয়ে গবেষণার জন্যই পুরস্কার দেওয়া হল তাদের। এস্থার অর্থনীতিতে বিশ্বের সর্কনিষ্ঠ নােবেল প্রাপক। 

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্সি কলেজেই পড়াশুনাে অভিজিতের। আরও এক নােবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের ছাত্র ছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর প্রেসিডেন্সির জন্য যে মেন্টর গ্রুপ তৈরি করেছিলেন, সেই গ্রুপের সদস্য ছিলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নােবেল পেয়েছিলেন অমর্ত্য সেন। বীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অমর্ত্য সেন ও মহম্মদ ইউনুসের পর আরও এক আদ্যন্ত বাঙালি পেতে চলেছে এই সর্বোচ্চ সম্মান।

অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের আন্তর্জাতিক অধ্যাপক হিসেবে এমআইটি’তে কর্মরত। ২০১৩ সালে অভিজিৎ এবং এস্থার ডাফলো বিশ্বের দরিদ্র নিয়ে গবেষণার জন্যে যুগ্মভাবে গড়ে তুলেছিলেন আবদুল লতিফ জামিল পভার্টি অ্যাকশন ল্যাব। তাদের পরীক্ষামূলক গবেষণাকেই সম্মান জানাচ্ছে নােবেল কমিটি। 

১৯৬১ সালে মুম্বইয়ে জন্ম অভিজিৎ বিনায়কের। প্রাথমিক পড়াশােনা করেন সাউথ পয়েন্ট স্কুলে। ১৯৮১ সালে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হন অভিজিৎবাবু। সেবছরই স্নাতকোত্তর পড়তে চলে যান জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘ইনফরমেশন ইকনমিক্স’। 

রাষ্ট্রপুঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামালছেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৫ পরবর্তী ডেভেলপমেন্ট অ্যাজেন্ডা কর্মসুচিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের সচিবের বিশিষ্ট প্রতিনিধি প্যানেলে ছিলেন তিনি। অর্থনীতির বিষয়ে লেখা তার চারটি বই বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। তার মধ্যে ‘পুওর ইকনমিক্স’ বইটি ‘গােল্ডম্যান স্যাকস বিজনেস বুক’ সম্মানে ভূষিত হয়। 

অপরদিকে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী তথা নােবেল প্রাপক এস্থার ডাফলাের জন্ম ১৯৭২ সালে প্যারিসে। তার গবেষণাও এমআইটি থেকে। এস্থার গবেষণার বিষয় ছিল ‘দারিদ্র দূরীকরণে সামাজিক নীতি নির্ধারণ’।