• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

কন্যাশ্রী ও রূপশ্রীর দরাজ প্রশংসা ইউনিসেফের প্রতিনিধির

মেয়েদের জীবনে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি বাংলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও অভূতপূর্ব কাজ করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সম্প্রতি একথা বললেন ইউনিসেফের এক প্রতিনিধি। 

বাংলার মেয়েদের জীবন বদলে দিয়েছে কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী প্রকল্প। মেয়েদের জীবনে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি বাংলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও অভূতপূর্ব কাজ করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সম্প্রতি একথা বললেন ইউনিসেফের এক প্রতিনিধি।

সম্প্রতি কলকাতায় কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ (সিআইআই) ইস্টার্ন রিজিয়ন আয়োজিত ইম্প্যাক্ট ইস্ট ২০২৪ কনক্লেভে সমাজকল্যাণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্প হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী প্রকল্পের প্রশংসা করা হয়।

সিআইআই আয়োজিত ‘ইমপ্যাক্ট ইস্ট, ২০২৪ কনক্লেভ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ-এর চিফ ফিল্ড অফিসার মঞ্জুর হোসেন। তিনি সামাজিক উন্নয়নে কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী প্রকল্পের গঠনমূলক প্রভাবের কথা তুলে ধরেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, শিশুবান্ধব সমাজ গঠনে সরকার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করছে এবং সিএসআর তহবিল ব্যবহার করা হচ্ছে সমাজসেবামূলক কাজে।

অনুষ্ঠানে শিল্পমহলের আরও অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন – টাটা স্টিলের সৌরভ রায়, বিজি সমাদ্দার অ্যান্ড সন্স-এর দেবাশিস দত্ত এবং জিন্দাল স্টিলের প্রশান্ত কুমার হোতা।

অনুষ্ঠানে ৫০টিরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অংশ নেয়। কিছুদিন আগে কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানেও ইউনিসেফ থেকে রাজ্যের একাধিক সামাজিক প্রকল্পের প্রশংসা করা হয়েছিল। মেয়েদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বে চালু করা উচিত বলেও জানিয়েছিল ইউনিসেফ।

ইউনিসেফের প্রতিনিধি আরিয়ান দে ওয়াগত সে সময় উল্লেখ করেছিলেন, ”কন্যাশ্রী প্রকল্প নারীদের ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইউনিসেফের শিশু পুষ্টি ও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যে কাজগুলো হচ্ছে, সেগুলো কন্যাশ্রীর মাধ্যমে আরও সফল হচ্ছে। প্রকল্পটি কিশোরীদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করছে এবং বাল্যবিবাহ রোধে বড় ভূমিকা রাখছে।”

২০১৩ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু হওয়া কন্যাশ্রী প্রকল্প ইউনেসকোর কাছ থেকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়। এই প্রকল্পটি কেবল রাজ্যের নয়, গোটা দেশের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে উঠেছে এবং বাল্যবিবাহের হারও উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়েছে।