• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

কাশ্মীরে পোস্টপেইড মোবাইল পরিষেবা ২ মাসেরও বেশি সময় পর পুনরায় চালু করা হয়েছে; ইন্টারনেট এখনও বন্ধ

৫ আগস্ট মোদি সরকার জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে এবং এই রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে।

নিরাপত্তায় মোড়া জম্মু ও কাশ্মীর। (Photo: IANS)

জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পরে দুই মাস ধরে যোগাযোগ ব্ল্যাকআউটের পরে উপত্যকায় সমস্ত পোস্টপেইড মোবাইল পরিষেবা পুনরায় চালু করা হয়েছে।

প্রায় ৪০ লক্ষ পোস্টপেইড মোবাইল পরিষেবা চালু হয়েছে।

জম্মু ও কাশ্মীর সরকার শনিবার জানিয়েছিল যে উপত্যকায় সোমবার দুপুর ১২ টা থেকে সমস্ত পোস্টপেইড মোবাইল পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।

‘মোবাইল ফোনের সংযোগগুলি, বিশেষ করে সমস্ত পোস্টপেইড পরিষেবা সোমবার অর্থাৎ ১৪ অক্টোবর বেলা ১২টা থেকে পুনরায় শুরু হবে। কাশ্মীরের দশটি জেলা জুড়েই এটি ঘটবে,’ জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধান সম্পাদক রোহিত কানসাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন।

তবে ২০ লক্ষ প্রিপেইড মোবাইল পরিষেবা ছাড়াও ইন্টারনেট পরিষেবা আপাতত বন্ধ থাকবে।

কানসাল বলেন, বহিরাগত সাহায্যপ্রাপ্ত সন্ত্রাসের কারণে যাতে কারোর প্রান না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল।

যোগাযোগের উপর ধিনিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে গভর্নর সত্য পাল মালিক আগে বলেছিলেন যে ‘যখন মোবাইল ফোনের প্রতিবন্ধকতা তুলে নেওয়া হয়েছে, আমরা আশা করছি এখানে (কাশ্মীর) বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসবে। আমরা আরও আশা করছি যে মানুষরা যেন কোনওভাবে সাধারণ কাজকর্ম করতে না পারার অজুহাতে কাজ বন্ধি রাখবে,’ নিউজ ১৮ জানিয়েছে।

৫ আগস্ট মোদি সরকার জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে এবং এই রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে।

মোবাইল ফোন এবং ল্যান্ডলাইন পরিষেবাগুলি, ৫ আগস্ট ভোরের দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

এর আগে সেপ্টেম্বরে, সরকার বলেছিল যে জম্মু ও কাশ্মীরের অঞ্চলের ৯০ শতাংশেরও বেশি অংশ বিধিনিষেধ মুক্ত।

সরকার নিশ্চিত করেছে যে কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য সন্ত্রাসীর মাধ্যমে পাকিস্তান যাতে সমস্যা তৈরি করতে না দেওয়া।

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরে ফোন এবং মোবাইল পরিষেবার নিষেধাজ্ঞা সম্বন্ধে বলেছিলেন যে সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ করার প্রয়োজন ছিল।