যাঁরা ‘নাইন্টিজ কিড’, তাঁদের নিশ্চয়ই মনে পড়বে রামায়ণ অ্যানিমে সিনেমার কথা? টিভির পর্দায় মাঝে মাঝেই সম্প্রচারিত হত বহুপরিচিত এই সিনেমাটি। তাঁদের জন্য রয়েছে এক বিরাট সুখবর! দীর্ঘ ৩১ বছর পরে বড়পর্দায় আসতে চলেছে ‘রামায়ণ: দ্য লেজেন্ড অফ প্রিন্স রাম’।
১৮ অক্টোবর দেশজুড়ে নানা সিনেমাহলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। হিন্দি, ইংরেজি, তামিল, তেলুগু-সহ আরও অনেক ভাষাতেই দেখা যাবে রাম-রাবণের যুদ্ধের পৌরাণিক কাহিনি। অ্যানিমেটি প্রথম ১৯৯৩ সালে ভারতে হওয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মুক্তি পায়। পরবর্তীতে ছোটপর্দাতেই তা মূলত সম্প্রচারিত হত।
সিনেমাটির চিত্রনাট্যকার হিসেবে রয়েছেন শ্রী ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ, যাঁর পরিচিতি বাহুবলী, বজরঙ্গী ভাইজান, আরআরআর-এর মতো সিনেমার জন্য। প্রসাদের হাতের জাদুতে অ্যানিমেটি নতুন শৈল্পিক এক মাত্রা পাবে, এমনটাই আশা। বিজয়া দশমী এবং দীপাবলির মরশুমে মুক্তি পেতে চলা এই সিনেমায় ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে জাপানি অ্যানিমের শিল্পচাতুর্যের এক অনন্য মেলবন্ধন ঘটেছে।
ভারত আর জাপানের যৌথ উদ্যোগে ১৯৯২ সালে ‘রামায়ণ: দ্য লেজেন্ড অফ প্রিন্স রাম’ তৈরি হয়েছিল। যুগ্মভাবে সিনেমাটির পরিচালনা করেন কোইচি সাসাকি এবং রামমোহন। সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বাণরাজ ভাটিয়া।
পৌরাণিক মহাকাব্য রামায়ণের ঘটনাকে অবলম্বন করে সিনেমাটি তৈরি হয়। রামায়ণের প্রথম দিকের অ্যানিমেশন সিনেমা এটি। পিতা দশরথের আদেশে লক্ষ্মণ-সীতাসহ রামের ১৪ বছরের জন্য বনবাসে যাওয়া, শূর্পণখার অপমানের প্রতিশোধ নিতে সীতাকে লঙ্কারাজ রাবণের অপহরণ, বানরসেনাদের সাহায্যে রামের সেতুবন্ধন এবং লঙ্কায় গিয়ে রাবণবধ করে অশোকবনে বন্দী সীতাকে উদ্ধার করা – সমস্তকিছুই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে। শিশু-কিশোরদের উপযোগী করে বানানো হলেও বড়োরাও অনায়াসে উপভোগ করবেন এই অ্যানিমেটি, এমনই এর জাদু।
সিনেমাটির বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে গিক পিকচার্স ইন্ডিয়া, এএ ফিল্মস এবং এক্সেল এন্টারটেইনমেন্ট। গিক পিকচার্স ইন্ডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা অর্জুন আগরওয়াল একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘রামায়ণের অ্যানিমে ভারত-জাপান যৌথ উদ্যোগের জাজ্জ্বল্যমান উদাহরণ। কালোত্তীর্ণ, কিংবদন্তী চরিত্র রামের এই সতেজ, গতিশীল চিত্রায়ণ এই মহাকাব্যকে এমনভাবে জীবন্ত করে তুলবে, যা সব জায়গার এবং সব বয়সের মানুষের নিঃসন্দেহে ভালো লাগবে।’ সদ্যই গিক পিকচার্স ইন্ডিয়া সিনেমাটির টিজার এবং পোস্টার জনসমক্ষে নিয়ে আসে।
তাহলে, পুজো-পরবর্তী সময়ে সিনেমা হলে একবার ঘুরেই আসুন না হয়, এক ঝলক ছোটবেলা ফেরত পেতে?