যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কোরিওগ্রাফার জনি মাস্টারকে। মহিলা সহকর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাইবেরাবাদ পুলিশ গোয়া থেকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। জনপ্রিয় এই কোরিওগ্রাফারের আসল নাম শাইক জনি। তিনি বলিউডে ‘স্ত্রী ২ ‘ ছবির গান ‘কাটি রাত মে…..’ কোরিওগ্রাফ করেছেন। কাজ করেছেন সলমন খান, রাম চরণ, আল্লু অর্জুনের সঙ্গেও। চলতি বছরে তিনি ‘থিরুচিত্রমবলম’ ছবির গান ‘মেঘম কারুক্কথার’ জন্য জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন।
সূত্রের খবর, ২১ বছর বয়সী কোরিওগ্রাফার জনি মাস্টারের মহিলা সহকারী তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করার সময় বেশ কিছু মাস ধরে যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর আরও অভিযোগ, শুটিংয়ের সময় বিভিন্ন সময়ে তাঁদের একসঙ্গে নানা জায়গায় যেতে হতো। সফর করতে হতো চেন্নাই, মুম্বই, হায়দরাবাদে। সেই সময় সুযোগ বুঝে তাঁর উপরে যৌন নির্যাতন করা হতো। জনির বিরুদ্ধে খারাপ ব্যবহারেরও অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা।
নেল্লোরের বাসিন্দা জনি বিভিন্ন তেলেগু ছবিতে নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। সেখান থেকেই তাঁর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে পরিচয়। ‘দ্রোনা’ ছবিতে তিনি কোরিওগ্রাফার হিসেবে জনপ্রিয়তা পান। ‘রাচা’ ছবিতে তিনি রাম চরণের সঙ্গে কাজ করেছেন। জনি সলমন খানের সঙ্গেও কোরিওগ্রাফার হিসেবে কাজ করেছেন। ছবির নাম ‘কিসি কা ভাই কিসি কা জান’। এছাড়াও তিনি কাজ করেছেন জুনিয়র এনটি আর , আল্লু অর্জুন, রবি তেজা, পবন কল্যাণের মতো তারকা শিল্পীদের সঙ্গেও।
এখানেই শেষ নয়, বলিউডে একাধিক ছবির গানে কোরিওগ্রাফার ছিলেন তিনি। সলমন খানের ‘জয় হো’, রাজকুমার রাও – শ্রদ্ধা কাপুরের ‘স্ত্রী ২’ তেও কাজ করেছেন তিনি। তামান্না ভাটিয়ার ‘কাভালা’ গানে তিনি কোরিওগ্রাফি করেন।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবারই আদালতে তোলা হয় । আদালত থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে হায়দরাবাদে আনা হবে।