উচ্চ প্রাথমিক মামলায় নয়া মোড়! এবার কলকাতা হাইকোর্টের উচ্চ প্রাথমিকের রায় নিয়ে রিভিউ পিটিশন দায়ের করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সূত্রের খবর, বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে রিভিউ পিটিশন দায়ের করতে পারে এসএসসি।
কিন্তু কী কারণে এই রিভিউ পিটিশন দায়ের করা হচ্ছে? শিক্ষা দফতরের সূত্র মারফর জানা যাচ্ছে, ৯৫ জন চাকরিপ্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে কিছু প্রশ্ন রয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ফার্স্ট ডিভিশন পাওয়া নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এই ভুল না শোধরালে পরবর্তীতে প্যানেলের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
এই জটিলতা এড়াতেই সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছে এসএসসি। রাজ্যের শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিকদের দাবি, কিছু সমস্যা রয়েছে। রিভিউ পিটিশনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। রিভিউ পিটিশনের পরিবর্তে ডিভিশন বেঞ্চে ক্ল্যারিফিকেশনও চাওয়া হতে পারে।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ২৮ অগস্ট নির্দেশ দেয়, আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। তারপর দ্রুত কাউন্সেলিং করে যোগ্য প্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে।
এরপরই হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। হাইকোর্টের নির্দেশ সংরক্ষণ নীতি বিরোধী, এই দাবি তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজীব ব্রহ্ম-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে আপার প্রাইমারি পরীক্ষা নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। পরীক্ষা পর্ব মোটামুটি নির্বিঘ্নে মিটলেও মেধাতালিকা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। একের পর এক মামলার জেরে থমকে যায় গোটা নিয়োগপ্রক্রিয়া।