• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ফের জল ছাড়ল ডিভিসি, বন্যা পরিস্থিতির অবনতির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে

ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হুগলির খানাকুল

গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির জেরে এখনও জলের তলায় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। বৃহস্পতিবার মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে ৮০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ল ডিভিসি।

ডিভিসি নতুন করে জল ছাড়ার ফলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের হুগলি ও হাওড়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়ার পরিস্থিতির কারণে জলস্তর ক্রমাগত বাড়তে থাকায় মাইথন এবং পাঞ্চেত বাঁধের উপর চাপ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে তাই পাঞ্চেত থেকে ৭০ হাজার এবং মাইথন থেকে ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে, বিবৃতি দিয়ে জানাল ডিভিসি।

হাওড়ার উদয়নারায়নপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সেখানকার ১০ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১১২টি গ্রাম রয়েছে জলের তলায়। নতুন করে একাধিক এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। জলমগ্ন থাকায় আনুমানিক ৪০ হাজার মানুষ গৃহহীন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে গৃহহীনদের ফ্লাড সেন্টারে নিয়ে আসা হয়েছে। জোরকদমে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হুগলির খানাকুল। নতুন করে জল ঢুকেছে খানাকুলের একাধিক গ্রামে। খানাকুলের ২০টির বেশি পঞ্চায়েত এলাকা জলের তলায় রয়েছে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে একাধিক স্কুল। বহু মানুষকে আনা হয়েছে ত্রাণশিবিরে।

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমলেও শনিবার থেকে ঝাড়খণ্ডে চলছে টানা বৃষ্টি। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে ডিভিসি থেকে আরও জল ছাড়া হবে। ডিভিসির অতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলে, বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলায়।