• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ডেবরার চারটি অঞ্চল জলমগ্ন

তৃণমূল নেতা বিবেক মুখোপাধ্যায় বলেন, ভবানীপুর ছাড়াও বাঁধ ভেঙেছে লোয়াদায়। ভরতপুরের জগন্নাথপুরে বাঁধে ফাটল হয়ে আশেপাশের গ্রাম জলমগ্ন করেছে। চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বহু ঘরবাড়ি পড়ে গিয়েছে।

ডিভিসি থেকে ছাড়া জলের কারণে কাসাই নদীর বাঁধ ভেঙে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের ১ নং ভবানীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন হয়েছে। এলাকায় গ্রামে গ্রামে ঢুকেছে বন্যার জল। বহু মাটির বাড়ি, রাস্তা ও চাষের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। প্রায় আড়াই হাজার মানুষ বাড়ি ছাড়া। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ভোররাতে বাঁধ ভেঙে ঘরে ঘরে জল ঢুকে যায়। গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আগাম কোনও সতর্কতা গ্রামবাসীদের দেওয়া হয়নি। বহু মানুষের প্রাণ সংশয় হতে পারতো।

বুধবার সকালে বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েন ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। গ্রামবাসীরা তাঁকে জানান, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্যরা আগাম কোন সতর্কতা জারি করেনি। বাঁধে দীর্ঘদিন মাটি পড়েনি, অত্যন্ত দুর্বল অবস্থায় ছিল। ফলে জলের তোড়ে বাঁধ ভেঙে যায়। বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতি ছিল বলে আমাকে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। মানুষের ক্ষোভ খুব স্বাভাবিক। তাঁরা আমাকে তাঁদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন । বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেচ দপ্তরের সঙ্গে কথা বলব। কাঁসাই নদীতে জল বাড়তে পারে ফলে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে আগাম কোনও মাইকিং করা হয়নি বলে অভিযোগ পেয়েছি।

আপাতত পাটনা হাইস্কুলে ঘরহারাদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওখানেই খাওয়া-দাওয়া এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওষুধ, জীবাণুনাশকের জন্য ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছি। তৃণমূল নেতা বিবেক মুখোপাধ্যায় বলেন, ভবানীপুর ছাড়াও বাঁধ ভেঙেছে লোয়াদায়। ভরতপুরের জগন্নাথপুরে বাঁধে ফাটল হয়ে আশেপাশের গ্রাম জলমগ্ন করেছে। চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বহু ঘরবাড়ি পড়ে গিয়েছে।